গতকাল ২০ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ কাদেরী চেম্বারে অগ্রণী ব্যাংক জাতীয়তাবাদী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে সংগঠনের কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিএনপি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সম্পাদক, শ্রমিকদল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি আলহাজ্ব এ এম নাজিম উদ্দিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শ্রমিকেরা অধিকার বঞ্চিত হলে কোন প্রতিষ্ঠানের উন্নতি কখনো সম্ভব নয়। বর্তমানে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে স্বৈরাচারের দোসরেরা অবস্থান করছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত করা উচিত এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করে ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেই অবদান রেখেছেন, সিপাহী জনতা জিয়াউর রহমানকে সম্মাননা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আজকে সেই মহান নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং শহীদ জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দল প্রতিষ্ঠা করার সময় যে ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন, সেখানে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কয়েকটি দাবি সংযোজন করেছেন। তিনি সর্বদায় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্র পরিচালিত করেছিলেন। তার শাসনামলে কখনো দুর্ভিক্ষ হয়নি ও দুঃশাসন ছিলনা। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১ শিফট্-এর পরিবর্তে ৩ শিফট্ চালু করেছিলেন। তিনি মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। অগ্রণী ব্যাংক জাতীয়তাবাদী কর্মচারী সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মোঃ শাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান খন্দকার ও বকুল বড়ুয়া সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন।
প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এএম নাজিম উদ্দিন।প্রধান বক্তা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দের মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক চট্টগ্রাম সার্কেলের উপমহাব্যবস্থাপক এ. কে. শাহেদ আমিন হোসাইনী, সহকারী মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল হক, আবুল মাসুদ সাঈদ, সাবেক সভাপতি মোঃ ইসমাইল, শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আব্দুল বাতেন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল হাসান, জনতা ব্যাংকের সভাপতি নিজামুদ্দিন কাজল, বাংলাদেশ ব্যাংকের নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। প্রধান বক্তা কাজির শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কোন কর্মকর্তা অসদাচরণ করলে এবং শঠকারী করলে অথবা দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান করলে ওই সমস্ত কর্মকর্তাদেরকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অবস্থানকারী স্বৈরাচারী হাসিনার দোসর হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এক্ষেত্রে শ্রমিক জনতা আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল বাংলাদেশের একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক শ্রমিক সংগঠন। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে কোন অবস্থান নিলে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। এ সময় বিশেষ অতিথি অগ্রণী ব্যাংক চট্টগ্রাম সার্কেলের উপমহাব্যবস্থাপক এ. কে. শাহেদ আমিন হোসাইনী তার বক্তব্য বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দেশের মানুষের সঞ্চয় আমানত স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। এখানে কোন অসাধু মানুষের স্থান নেই। কোন মানুষ, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রের স্বার্থ না দেখে নিজের ব্যক্তি স্বার্থকে বড় করে দেখা এবং কোন অপকর্ম করলে সেটা কখনো মেনে নেওয়া যাবে না। যুক্তিসঙ্গত ও ন্যায় সঙ্গত শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক আইন মেনে যেকোন সহযোগিতা করার জন্য উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে বলেই আশা করি। সেখানে আমাদের যা যা সহযোগিতা করা দরকার তাই করে যাব। পরিশেষে ৭ নভেম্বরে সিপাহী জনতার অভ্যুত্থান ২০২৪-এ শ্রমিক ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।