আবুধাবিতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেছেন মিরাজ। জবাবে ৪৭ ওভার এক বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।
নতুন বলেও মোটেও সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। অল্প পুঁজি নিয়ে শুরুতেই বেশ খরুচে বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ-হাসান মাহমুদরা। তাতে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় আফগানিস্তান। জমে যাওয়া উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তানভির ইসলাম।
ইনিংসের দশম ওভারের তৃতীয় বলে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। ব্যাটে-বলে সংযোগ করতে পারেননি, স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেননি নুরুল হাসান সোহান। ২৩ রান করে ইব্রাহিম ফিরলে ভাঙে ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি সেদিকুল্লাহ অটল। তানজিম সাকিবের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন ১৫ বল খেলে ৫ রান করা এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ৫৮ রানে ২ উইকেট তুলে ম্যাচে ফেরার আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে রহমত শাহ ও গুরবাজ মিলে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে অনেকটাই দূরে ঠেলে দেন।
৩১তম ওভারে এই জুটি ভেঙেছেন তানজিম সাকিব। ৫০ রান করা রহমত শর্ট মিডউইকেটে মেহেদি মিরাজের হাতে ধরা পড়েন। পরের ওভারেই আক্রমণে এসে গুরবাজকে ফেরান মিরাজ। ওভারের প্রথম বলেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ৫০ রান করা এই ওপেনারকে বোল্ড করেন মিরাজ। তাতে দুই বলের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটারকে ফেরায় বাংলাদেশ।
এরপর পঞ্চম উইকেটে আবারো বড় জুটি গড়ে আফগানরা। ৪৪ বলে ৪০ রান করে আজমতউল্লাহ ফিরলে ভাঙে সেই ৫৯ রানের জুটি। তবে ততক্ষণে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। এরপর আর ফিরতে পারেনি তারা।
শেষদিকে তানজিম সাকিবের ১৭, আর তানভির ইসলামের ১১ রানের সুবাদে ২২১ রান তুলে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
