শনিবার বনশ্রীর খালপাড় এলাকায় “ময়লা পরিষ্কার ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। এই কর্মসূচির আয়োজন করে সমমনা পরিষদ, বনশ্রী, ডিএনসিসির সার্বিক সহযোগিতায়।
প্রশাসক বলেন, “আফতাব নগর থেকে বনশ্রী যাওয়া-আসার জন্য প্রধান সড়ক ছাড়া বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। তাই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নড়াই নদীর উপর দুটি সেতু নির্মাণ করা হবে যা এ দুই আবাসিক এলাকাকে সরাসরি সংযুক্ত করবে।”
তিনি জানান, আশির দশকে প্রবাহমান থাকা নড়াই নদী বর্তমানে দখল ও দূষণের কারণে সংকুচিত হয়ে বনশ্রী খাল নামে পরিচিত। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় এটিকে পুনরায় ‘নড়াই নদী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ডিএনসিসি প্রশাসক আরও বলেন, “আমরা যদি এই নদী রক্ষা করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে রামপুরা থেকে শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও বালু নদী হয়ে সদরঘাট ও মিরপুর পর্যন্ত নৌপথে যাত্রী পরিবহন চালু করার সম্ভাবনা তৈরি হবে।”
বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের বাধা প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই চক্রের কারণে ঢাকার ফুটপাত দখলমুক্ত ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যকর করা কঠিন হয়ে পড়েছে।” তিনি আরও জানান, গুলশান, বনানী ও বারিধারা লেক এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ চলছে।
বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রশাসক বলেন, “গাছ লাগানোর পর অন্তত দুই-তিন বছর সেগুলোর পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে, তাহলেই টেকসই সবুজ ঢাকা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।” একইসঙ্গে তিনি খালে ময়লা না ফেলার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমমনা পরিষদ, বনশ্রীর সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন শিকদার। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বনশ্রীর নানজিং কমিউনিটি সেন্টার থেকে শুরু করে খালপাড় পর্যন্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীরা এই কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এ ধরনের সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সম্মিলিতভাবে কাজ করার ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ে তুলছে।
