টাকা ছাড়া স্বাক্ষর দেন না বিভিন্ন অপরাধ করে প্রমাণিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।ইয়াবা, রোহিঙ্গা ভোটার, সনদ নিতে সাক্ষর সহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত - চৌকিদার জুনু কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৫ নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের বালুখালী ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নুরুল আমিন জুনুর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রয়োজনীয় সনদপত্র নেওয়ার আবেদন ফরমে স্বাক্ষর নিতে গুনতে হয় টাকা। বিভিন্ন রকমের হয়রানি সহ পাহাড় সমান অভিযোগ স্থানীয় ভুক্তভোগীদের।স্থানীয় ভোক্তভোগীরা জানান, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার আলী হোসেন আইনি পোশাক পড়ে প্রতিনিয়ত বে-আইনিভাবে কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রতিবেশী এবং স্থানীয় গরিব অসহায় ও সাধারণ মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মসনদ, মৃত্যুসনদ, ওয়ারিশ সনদ, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, রোহিঙ্গা নয় মর্মে প্রত্যয়ন পত্র সহ, পাসপোর্ট করার জন্য বা ভোটার হওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে ওয়ার্ড মেম্বার এবং মহিলা মেম্বার ও স্থানীয় চৌকিদারের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক হওয়ায় বাংলাদেশী নাগরিক সেবায় স্বাক্ষর নিতে গেলে টাকা ছাড়া কথাও বলতে চান না এই আলী হোসেন চৌকিদার। একটা স্বাক্ষরে দুইশ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ভিজিট পেলে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য থাকেন তিনি। নির্বাচিত মেম্বার চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান এই চৌকিদার।
একজন বাংলাদেশী নাগরিক ইউনিয়ন পরিষদের সেবা পেতে মেম্বার ও মহিলা মেম্বার এর স্বাক্ষর পেলেও চৌকিদারের স্বাক্ষর পেতে অনেক কষ্ট হয় গরিব অসহায় ও সাধারণ মানুষের। তার এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ জনগণ। এসব বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা বিরাজ করছে এলাকার বাজার কিংবা চায়ের দোকানে।স্থানীয় বাসিন্দা কাদের হোছনের ছেলে মোঃ আলমগীর জানান গত ৪ ই ডিসেম্বর সকালে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের নিমিত্তে বালুখালী পানবাজারস্থ ফ্যাক্স আনোয়ার এর দোকানের সামনে গিয়ে সাক্ষরের জন্য গেলে তিনি আমার থেকে অন্যায় ভাবে টাকা দাবী করে।আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সাক্ষর না দিয়া তাড়াইয়া দেয়। পরে আমি বিষয়টি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী কে জানায় পরে সন্ধা ৮ টা ৩৮ মিনিটের সময় পান বাজারে স্বাদ নামক দোকানের সামনে গ্রাম পুলিশ আমার প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করতে বল্লে একহাজার টাকা দাবি করেন আমি টাকা না দেওয়ায় গালি দেন আমি প্রতিবাদ করলে আমার কাপড় চোপড় টানা হেঁচড়া করতঃ চড় থাপ্পড় মারেন একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ী মারধর করিয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। একপর্যায়ে তারা আমার ব্যবহৃত এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোনটি আমার হাত থেকে নিয়ে স্বজোরে আছাড় মেরে ক্ষতিগ্রস্থ করেন।এবিষয়ে অভিযুক্ত ৫ নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের বালুখালী ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নুরুল আমিন জুনুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল ফোন বন্দ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।এবিষয়ে ৫ নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, আমি এই বিষয় গুলো শুনেছি আজ এই বিষয়ে সেনাবাহিনী কল করেছিলেন আগামীকাল বিকেলে তাদের এখানে যেতে বলেছেন - যদি সে অপরাধ করে থাকে এক বিন্দুবর ছাড় দেওয়া হবে না।