কোন অবস্থাতেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিদপ্তরের নির্দেশনা মানছে না কর্মরত শিক্ষকগণ।
নির্দেশনা শুধু দপ্তরের কাগজে-কলমে বাস্তবে বসে বসে কর্তা ব্যক্তিরা মাইনে গনে। তেমনি সরজমিনে গিয়ে গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের ৩৮ নং বাগাইয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শাহ আলম চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জনপতি মাসিক ৫০০ টাকা বেতনে ১৫ থেকে ২০ জনের গ্রুপ ভিত্তিক সকাল ৮ ঘটিকা হতে দশ ঘটিকা পর্যন্ত কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যায়। আজ সকাল ৮:১৫ মিনিটে গিয়ে বিদ্যালয়েএ দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জানান প্রধান শিক্ষক শাহ আলম চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের আশ্বাসে তার নিকট কোচিং করার জন্য বাদ্য করে।এমনকি তার কাছে কোচিং না করলে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হতে হবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে তার কাছে কোচিং করে। ৩৮ নং বাঘাইকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ আলম ইতিপূর্বে ভুয়া ভোটকেন্দ্র ও নতুন ভবনে ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ, রুটিন মেনটেন্স স্লিপের টাকা, বিজয় ফুল, বিজয় দিবস একুশে ফেব্রুয়ারি পালন, ঈদে মিলাদুন্নবী বিভিন্ন বরাদ্দ বিদ্যালয়ে নামে মাত্র ব্যবহার করে ভুয়া বিল ভাউচার উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারি শিক্ষা অফিসারের লোভনীয় তদারকির মাধ্যমে স্বাক্ষর করে রেজিস্টার মেইনটেনেন্স করে।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শাহ আলম সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে প্রাইভেট রুম হতে বাহির হয়ে এসে পানি পান করার কথা বলে ছাত্র-ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেয় এবং গণমাধ্যম কর্মীদের বলে একটু খেয়াল রাইখেন।নব যোগদান কৃত উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহনাজ পারভিনকে অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। অফিসকর্মীরা জানান ২৬/০৯/২০২৪ তিন তারিখে যোগদান করে অফিসে আর আসেননি।মুন্সিগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন বিদ্যালয়ের সময়সূচী সকাল ৯ টা হতে বিকাল চারটা তিরিশ ঘটিকা পর্যন্ত এবং কোন শিক্ষক বিদ্যালয়ে কোন প্রকার প্রাইভেট পড়াইতে পারবে না। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।