৭ই নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জে বিশাল বর্নাঢ্য র্যালি করেছে জেলা বিএনপি।শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠ থেকে র্যালিটি শুরু করে সারা শহর প্রদক্ষিণ করে। এর আগে পৌরসভার মাঠে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ জি কে গউছ।র্যালিতে অংশ গ্রহন করতে জেলা বিএনপির সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠে সমবেত হন। সারা শহরই যেন মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়।র্যালীর প্রাক্কালে পৌর মাঠে আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুদ্ধ করেছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন।স্বাধীনতা এনে দিয়ে তিনি আবার ব্যারাকে ফিরে গিয়েছেন। একজন নিঃস্বার্থ রাজনীতিবিদের উদাহরণ হচ্ছে জিয়াউর রহমান। অথচ যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেনি, যারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল, পাকিস্তানের কারাগারে মেহমানদারী করেছে, তারা ফিরে এসে এই স্বাধীন দেশটাকে বিরান ভূমিতে পরিণত করেছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমেই বাকশালী শক্তির সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর তৎকালীন সেনাপ্রধান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশকে এক অচলাবস্থা থেকে রক্ষা করেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মাথা উচুঁ করে দাড়িয়েছে। শুরু হয়েছিল বহুদলীয় রাজনীতির ধারা।তিনি দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়ন ও উৎপাদনে শীর্ষে পৌছে দিয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন।র্যালিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, ইসলাম তরফদার তনু ও হাজী এনামুল হক, এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, এডভোকেট আমিনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মস্তুফা রফিক, এম জি মোহিতসহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন নেত্রীবৃন্দ।