আজ বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এর বিচারক মো: শহিদুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: রেজাউল আমিন শামীম জানান, গত ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল ভোরে মেলান্দহ উপজেলার দিলালেরপাড়া গ্রামের আছাদুল্লাহ ও তার স্ত্রী তাদের সাত বছর বয়সী কন্যাশিশুকে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে বাড়ীর বাইরে ধান সিদ্ধ করছিলো। এ সময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী শহিদ মিয়া ওই শিশুকে ঘুমন্ত অবস্থায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি তার বাবা-মাকে ঘটনাটি অবহিত করলে ওইদিনই শিশুর বাবা আছাদুল্লাহ মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ২০১৮ সালের ১২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলায় দশ জন সাক্ষীর সাক্ষের ভিত্তিতে সন্দেহাতীতভাবে ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরে আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায়ে আসামী শহিদ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো: রেজাউল করিম শামীম ও আসামীপক্ষে ছিলেন মো: রফিকুল ইসলাম জুলহাস।