গাজীপুরের শ্রীপুরে আ,লীগের ঢাকার সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ বিএনপির ও ছাত্রজনতার যৌথ ব্যারিকেটে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অচল হয়ে পড়ে। গত শুক্রবার গভীর রাত থেকে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের ফোর লাইন সড়কের ঢাকার দিকে আসার অংশে ব্যারিকেড দিয়ে রাখার কারনে যাত্রী সাধারণ এবং পণ্যবাহী যানবাহন গুলোকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। কর্মস্থলে যাওয়া নারী-পুরুষদেরকে কখনো পায়ে হেঁটে কখনো ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা দিয়ে গন্তব্যের দিকে যেতে দেখা যায়। অনেক নারী পুরুষ কে তাদের শিশু সন্তান সঙ্গে নিয়ে ব্যারিকেট গুলো অতিক্রম করে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা যায়।ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার এম সি বাজার এলাকায় যানবাহন অটোরিকশা সিএনজি থামিয়ে যাত্রীদেরকে তল্লাশি করে যেতে দেয়া হয়েছে শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা -মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় শ্রীপুরের শেষ সীমানায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী পরিবহনে পুলিশের তল্লাশি করতে দেখা যায়।ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে গাজীপুর তেলিপাড়া গার্মেন্টসে কর্মস্হলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মাওনা পল্লী বিদ্যুৎ মোরে ব্যারিকেটে পড়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া যাত্রী মোশারফ হোসেন জানান, সকালে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ময়মনসিংহ গাজীপুরের সীমান্ত থেকে মাওনা চৌরাস্তা পাঁচ কিলোমিটার জায়গার আসতে চার বার ব্যারিকেটে পড়তে হয়েছে। এতে করে ভোগান্তি এবং কর্মস্থলে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।মহাসড়কে বিভিন্ন গাড়ি এ্যালোপাথাড়ি করে ব্যারিকেট দিয়ে পুলিশ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা এবং বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে সামনে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে পিকেটিং করতে দেখা গেছে। এতে করে সর্বসাধারণ, যাত্রী এবং পথচারীদের ভোগান্তির পাশাপাশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।শ্রীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন বেপারী জানান,হারিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা দেশে নাশকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে, তাই আমরা নাশকতা মূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধ করতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছি।শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জয়নাল আবদিনের মন্ডল জানান, মহাসড়কে যেকোনো ধরনের নাশকতা প্রতিরোধ করতে টহল ও তল্লাশি করছে পুলিশ।