ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে উঠেছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে

ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে উঠেছে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকদের  বিরুদ্ধে। মৃত্যুর পরপরই মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট ও ডাক্তারের সাথে হাতাহাতি হয়েছে রোগীর স্বজনদের।গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার বেতছড়ি এলাকার রৌশন আলী খান এর ছেলে কোরবান আলী(৪৫) হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে আসছে বলে জানা যায়। পরবর্তী চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।নিহতের বড় ভাই মোঃ মাহতাব অভিযোগ করে বলেন, এখানে দায়িত্বরত ডাক্তার এর ভুল চিকিৎসা ছিলো। মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ভুল চিকিৎসার কারেন আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। একজন এমবিবিএস ডাক্তার থাকলে সে প্রথম থেকে চিকিৎসা সেবা দেননি। মারা যাওয়ার অন্তত ১ ঘন্টা পর হাসপাতালে এসেছেন তিনি। এখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের গাফলতি ছিলো চিকিৎসা সেবায়।তিনি আরো জানান, আমার ছোট ভাই কোরবান আলী হটাৎ বুকে ব্যাথা উঠে পরে বেতছড়ি বাজার ফার্মেসী হতে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। বুকের ব্যথা না কমলে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসি। মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সুগত চাকমা তাকে দেখে তারপর তাকে ইনজেকশন দেন এবং কয়েকটি ট্যাবলেট খাওয়ান । পরবর্তীতে আমাদের বলেন তাকে গ্রীন লাইফ থেকে ইসিজি করিয়ে আনতে। আমার ছোট ভাইকে নিয়ে গ্রীন লাইফ ডায়গনিস্টিক সেন্টারে আসার পথে উপজেলা পরিষদের সামনে আসলে তার জ্ঞান হারিয়ে যায়। আবার হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) তিলক চাকমা, গাফিলতির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানান, রোগী হাসপাতালে আসার আগে কোন এক ফার্মেসী হতে পেটে ব্যথার ওষুধ সেবন করেন। সেবন করার ফলেও তার কোন উন্নতি না হলে হাসপাতালে আসেন। পেটে ব্যথা হওয়ার ফলে আমাদের মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট চেকআপ করে জানালেন তার হার্ট এটাক হয়েছে এবং তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এরপর তাকে ইসিজি করতে পাঠানো হয়। পথেই তার মৃত্যু হয়।দীঘিনালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া জানান, হাসপাতালে একজন রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে রোগী স্বজন ও চিকিৎসকদের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় কাজ করেছে। কোন অভিযোগ হলে পুলিশ আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবে।