স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশের ফুটবল লিগে কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন ব্যতিক্রমী পুরস্কার প্রদান নতুন ঘটনা নয়। এর আগে খেলা শেষে সেরা ফুটবলারের মাঝে ডিম, দুধ, ভেড়ার বাচ্চা কিংবা কখনও গাজর–ফুলকপির মতো সবজিও দিতে দেখা গেছে। এবার ম্যাচসেরার পুরস্কার দেওয়া হলো ৫৫ কেজি আলু। ঠেলাগাড়িভর্তি করে এই পুরস্কার মাঠে নেওয়া হয় ডেনিস সুপারলিগার একটি ম্যাচ শেষে।

ডেনমার্কের প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে গত রোববার নরশেল্যান্ডের বিপক্ষে ৩–২ গোলে জেতে সোনারইয়ুস্কা ক্লাব। সোনারইয়ুস্কার হয়ে প্রথম গোলটি করা ফরাসি সেন্টারব্যাক ম্যাক্সিম সউলাস ম্যাচসেরা হয়েছেন। এরপর ২৬ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ৫৫ কেজি আলু। এ প্রসঙ্গে সউলাস এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘আমাদের ক্লাব ক্যাফেটেরিয়ায় পুরস্কার হিসেবে পাওয়া আলু দিয়েছি, তারা সেগুলো স্যুপ কিচেনে দান করে দেয়।’

সোনারইয়ুস্কা ক্লাবের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জ্যাকব রাভ্ন বলছেন, ‘ম্যাচের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান পুরস্কার হিসেবে এটিকে বেছে নিয়েছে। সে বিষয়টিকে মজা হিসেবে নিয়েছিল এবং সেই ঘটনা এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে।’ দক্ষিণ ফ্রান্সের বাসিন্দা সউলাস ২০২০ সালে ডেনমার্কের ক্লাব অ্যামাগারে যোগ দিয়েছিলেন। পরের বছর নাম লেখান সোনারইয়ুস্কা ক্লাবে। এর আগে সউলাস নেদারল্যান্ডসে খেলেছেন।

dhakapost

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ফুটবলে এমন বিচিত্র পুরস্কার প্রদানের ঘটনা নতুন নয়। নরওয়ের ক্লাব ব্রাইন এফকে ম্যাচসেরার পুরস্কার হিসেবে ব্যতিক্রমী পণ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ প্রসিদ্ধ। তারা সম্প্রতি ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচ শেষে সেরা খেলোয়াড়কে ১০০টি ডিম, ৪০ ব্যাগ ওটস, ভেড়ার বাচ্চা এবং ২০ লিটার দুধ দিয়েছে। যা পরবর্তী কিছুদিন পুরস্কারপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের মুদি চাহিদা পূরণ করবে!

নরওয়েজিয়ান এই ক্লাবের দেখাদেখি একই পথে হাঁটতে শুরু করেছে ডেনমার্কের ক্লাব ফুটবলও। অবশ্য ব্রাইন এফকে এমন পুরস্কার প্রদানের রীতি চালু করেছে বৃহৎ উদ্দেশ্য থেকে। তাদের সিংহভাগ বাসিন্দা কৃষিকাজে অভ্যস্ত হওয়ায় তাদের প্রেরণা ও সম্মান দেখানোর অংশ হিসেবে কৃষিপণ্য পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়।