মানববন্ধন শেষে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর।রবিবার (৬অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটায় নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ এবং ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্ৰেডে উন্নতিকরণে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

নাটোরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে নাটোর জেলায় কর্মরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

মানববন্ধন শেষে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর।রবিবার (৬অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটায় নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ এবং ১৩তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্ৰেডে উন্নতিকরণে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ সময় বক্তারা আরো বলেন স্নাতক সমমর্যাদায় মাধ্যমিকের একজন সহকারী শিক্ষক পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর জনপ্রশাসনের একজন কর্মচারী তারা সকলেই এই দশম গ্ৰেডের বেতন ভাতা পান অথচ আমাদের সমযোগ্যতা থাকার পরেও রাষ্ট্র আমাদের সাথে বছরের পর বছর বৈষম্য তৈরি করে রেখেছে। আমরা এই বেতন বৈষম্যর চিরতরে বিলোপ চাই। নাটোর জেলার সাতটি উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।                         

এ সময় মানববন্ধন অনুষ্ঠানে নেপালদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোলাম মুক্তাদির চৌধুরী বলেন: মালদ্বীপে একজন প্রাথমিক শিক্ষক ৬৩ হাজার টাকা বেতন পায়। ভারত এবং নেপালের একজন প্রাথমিকের শিক্ষক ৩৫ হাজার টাকা বেতন পান পক্ষান্তরে আমরা বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা ১৮০০০ টাকা বেতন পাই। দক্ষিণ এশিয়ায় সাতটি দেশের ভিতরে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা সর্বনিম্ন বেতন ভাতা পান এবং মর্যাদার দিক থেকে সপ্তম অবস্থানে রয়েছেন। এশিয়ায় ৪৮ টি দেশের ভিতরে বাংলাদেশে মর্যাদার দিক থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান ৪৫ তম। তিনি আরো বলেন ১৩ তম গ্রেড এবং বেতন বৈষম্য থাকায় মেধাবীরা এখন প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষকতা করতে আসতে চায় না।

জেলা প্রশাসক মাছুদুর রহমান (ভারপ্রাপ্ত) মর্নিং পোস্ট কে বলেন: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী  শিক্ষকদের স্মারকলিপি পেয়েছি যথা নিয়মে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।মানববন্ধন এবং স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সেলিম রেজা, আব্দুল জব্বার, শামীম শাহরিয়ার, শাহীন আলম, আবু তাহের সেন্টু প্রমূখ।