সেখান থেকে গভীর রাত হলেও বাড়ি ফিরে আসেনি। রাতেই প্রতিবেশি ও আত্মীয়ের বাড়িতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশি মনোয়ারা বেগম নামের এক মহিলা মাঠে গিয়ে তার গলা কাটা মরদেহ দেখে পরিবারের কাছে খবর দেয়।

দিনাজপুরের বিরামপুরে  মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে গিয়ে নিখোঁজের একদিন পর ঘাস ক্ষেত থেকে আব্দুল ওয়াহেদ মুন্সি (৭৭) নামের এক বৃদ্ধের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ২মে পৌর শহরের পারভবানিপুর মুন্সিপাড়া গ্রামের একটি মাঠ থেকে ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আব্দুল ওয়াহেদ ওই এলাকার মনছের মুন্সি’র ছেলে। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার মহন্ত বিষটি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের ছেলে গোলাম মোস্তফা দৈনিক তৃতীয় মাত্রাকে জানান, সোমবার সন্ধার দিকে বাড়ির পাশে  মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে যান তার বাবা।

সেখান থেকে গভীর রাত হলেও বাড়ি ফিরে আসেনি। রাতেই প্রতিবেশি ও আত্মীয়ের বাড়িতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর পাওয়া যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশি মনোয়ারা বেগম নামের এক মহিলা মাঠে গিয়ে তার গলা কাটা মরদেহ দেখে পরিবারের কাছে খবর দেয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। তবে আমার ধারণা, তাকে পরিকল্পিতভাবে পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যা করা হয়েছে। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুমন কুমার মহন্ত দৈনিক তৃতীয় মাত্রাকে জানান,‘নিহতের মরদেহ বাড়ি থেকে অর্ধ কিলোমিটার দূরে মাঠের একটি ঘাস ক্ষেতে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে ছিল। গলায় বেশ কয়েটি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

পিবিআই সদস্যরা এসে মরদেহ সুরতহাল তৈরী করেছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভবনীপুর গ্রামের  প্রতিবেশি  আলম হোসেন জানান,  এর আগেও করোনা মহামারীর সময় মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে  আব্দুল বাকী (৫৫), মোজ্জাফর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬) জমি জমার বিরোধের জের ধরে তিন বছর আগে দুটি হত্যাকান্ডে মারা যান। তিনি ধারণা করছেন,  এটাও হত্যাকান্ড হত্যা পারে।