গত ১৩ অক্টোবর/২০০৯ তারিখে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের মৃত মোঃ গোলাফ মিয়ার কুমারী কন্যা মোছাঃ লিপি আক্তার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের মোঃ শাহান উদ্দিনের সাথে। দুই ছেলে সন্তান থাকা সত্ত্বেও পরক্রিয়া প্রেমের কাছে বলিদান হল তাদের বিবাহ বন্দন। স্ত্রী লিপি আক্তার পরক্রিয়ার টানে স্বামীকে ছেড়ে প্রতিবেশী সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়ার মৃত আবু তাহেরের পুত্র মাহবুবুর রহমানের সাথে পালিয়ে যায়। শুধু পালিয়ে গিয়েই থেমে থাকেনি লিপি। লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল আত্নসাদ করে দফায় দফায় লুটপাট ও চুরিও করেছেন স্বামীর মালামাল। শেষ পর্যন্ত নতুন স্বামীকে নিয়ে ১ম স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছেন লিপি। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ জুন ২০২৪ তারিখে ঘটানো হয়েছিল শাহান উদ্দিনের বাড়িতে মাহবুবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসি হামলা। এমন কয়েকটি অভিযোগ নিয়ে বরিবার সকালে সরাইল প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগি শাহান উদ্দিন।

গত ১৩ অক্টোবর/২০০৯ তারিখে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের মৃত মোঃ গোলাফ মিয়ার কুমারী কন্যা মোছাঃ লিপি আক্তার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের মোঃ শাহান উদ্দিনের সাথে। দুই ছেলে সন্তান থাকা সত্ত্বেও পরক্রিয়া প্রেমের কাছে বলিদান হল তাদের বিবাহ বন্দন। স্ত্রী লিপি আক্তার পরক্রিয়ার টানে স্বামীকে ছেড়ে প্রতিবেশী সৈয়দটুলা পশ্চিমপাড়ার মৃত আবু তাহেরের পুত্র মাহবুবুর রহমানের সাথে পালিয়ে যায়। শুধু পালিয়ে গিয়েই থেমে থাকেনি লিপি। লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল আত্নসাদ করে দফায় দফায় লুটপাট ও চুরিও করেছেন স্বামীর মালামাল। শেষ পর্যন্ত নতুন স্বামীকে নিয়ে ১ম স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছেন লিপি। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ জুন ২০২৪ তারিখে ঘটানো হয়েছিল শাহান উদ্দিনের বাড়িতে মাহবুবের নেতৃত্বে সন্ত্রাসি হামলা। এমন কয়েকটি অভিযোগ নিয়ে বরিবার সকালে সরাইল প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগি শাহান উদ্দিন। 

সংবাদ সম্মেলনে শাহান উদ্দিন বলেন, আমি একজন কুয়েত প্রবাসী। কুয়েত থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রী লিপি আক্তার আমার বাড়িতেই বসবাস করে আসতেছিল। বর্তমানে আমার দুই ছেলে মোঃ সাদ (৯) ও মোঃ সাজিম (৬)। আমি বিদেশে থাকা অবস্থায় আমার সারা জীবনের উপার্জিত টাকা আমার স্ত্রী লিপি আক্তারের নিকট পাঠাই। যাহার প্রমানপত্রও আমার নিকট আছে ২০১৯ সাল হইতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আমার স্ত্রীর লিপির নিকট ৭২ টাকার উপরে পাঠাইছিলাম।

আমি ০৪ (চার) বছর বাড়িতে আসতে না পারায় আমার স্ত্রী লিপি আক্তার আমার পাশের বাড়ির সৈয়দটুলা পশ্চিম পাড়ার মৃত আবু তাহেরের দুশ্চরিত্র প্রভাবশালী পুত্র মোঃ মাহবুবুর রহমান এর সাথে পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে ধারাবাহিকভাবে অসামাজিক কাজ করতে থাকে। মাহবুবুর রহমান এর ভয়ে এলাকাবাসী মুখ না খুললেও এই ঘটনা আমার ভাই ভাবীরা দেখিয়া আমাকে জানাইলে আমি প্রথমে বিশ্বাস করিনাই। আমার সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে লিপি আক্তার একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যায়। ০৪ (চার) বছর পর আমি বাড়ি আসার পর আমার স্ত্রী আমাকে স্বামীর অধিকার হতে বঞ্চিত করে আসছিল এবং এক ফাঁকে আমাকে ছেড়ে নগদে এবং সম্পদে লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে পরকিয়া প্রেমিক মাহবুবুর রহমান এর সাথে চলে যায়।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ৮.০০ ঘটিকায় আমি সরাইল বিকাল বাজারে ছিলাম আমার অনুপস্থিতির সুযোগে লিপি আক্তার এবং মাহবুবুর রহমান পরস্পর যোগ সাজসে আমার ঘরের স্টিলের আলমারী হইতে নগদ ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা, মোট ২৪ ভরি ০৮ আনা স্বর্নালংকার সাংসারিক কিছু মালামাল নিয়ে চলে যায়। দফায় দফায় তালা ভেঙ্গে মালামাল নিয়ে যায়। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ আছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিবে বলে হুমকি দেয়। ২২ মে ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রোজ বুধবার মাহবুবুর রহমান ঘরের বিদ্যুতের তার লিক করে দিয়ে আমাকে বিদ্যুৎপৃষ্ট করে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। এসব ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করি মামলা নং- ১২ তারিখ- ১৮/০৯/২০২৩।

গত ০৭ জুন২০২৪ তারিখে মাহবুবুর রহমান, লিপি আক্তারসহ ০৮ থেকে ০৯ জন সন্ত্রাসী সকাল অনুমান ৯.০০ ঘটিকায় আকস্মিকভাবে আমাদের বাড়িতে হামলা দিয়ে আমার বসতবাড়ির উঠানে প্রবেশ করে মাহবুবুর রহমান আমাদেরকে খুন করে বিরোধের স্বাদ মিটাইতে তার সহযোগিদের প্রকাশ্যে হুকুম দিলে সন্ত্রাসবাহিনী আমাকে মেরে নাকের হার ভেঙ্গে দেয় এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে শুধু তাই নয় আমার বোন খালেদাকে মেরে জখম করে হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলে এবং কুকুরের মতো কামড়াইয়া ধরে, রামদা দিয়ে আমার বোনের মাথায় আঘাত করলে হাড়মাংস কেটে যায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ১০টি সেলাই দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাপাতালে পাঠানো হয়। আমার আরেক বোন হাসেনাকে মারাত্নক ভাবে আঘাত করে। এ বিষয়ে এলাকার সর্দারদের অবহিত করলে তারা চেষ্টা করেও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি।