কাজলের বাবা মনিরুল মিয়া বলেন গত ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় একই ইউনিয়নের রাজ্জাক মোল্লার ছেলে নাহিদ তার ছেলে কাজলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে কাজল আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরদিন সকালে নাহিদের সঙ্গে দেখা হলে কাজলের কথা জিজ্ঞেস করলে নাহিদ বলেন রাত ১১টার সময় কাজল বাড়িতে ফিরে গেছে। তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে কাজলের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি ২১শে ফেব্রুয়ারির দিন যে দোকান ঘরে লাশ পাওয়া গেছে সেই দোকান ঘরের নিচে একটি কোদাল ও মাটি কিছু আসবাবপত্র এবং কাজলের কাপড় পাওয়া যায়।
আজ সকালে আমি থানায় অভিযোগ করতে যাই পরে বাড়ি থেকে একজন ফোন করে বলে যে মাসুদের দোকান ঘরের নিচ দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং মাছি উড়ছে। পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বার সহ কয়েকজন মিলে দোকান ঘরের ফ্লোর ভেঙে দেখতে পায় যে লাশ মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। স্থানীয়রা বলেন, কাজল চুরি করতে গিয়েই মাটির নিচে চাপা পড়েছে।
তবে হত্যা নাকি চুরি করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে এই বিষয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত করেননি কাজলের বাবা। এ বিষয়ে পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা বলেন, আমরা খবর পেয়ে এসে দেখতে পাই। যে ছেলেটি আটকা পড়েছে সে দোকান ঘরের নিচ থেকে বালি সরিয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করছিল এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে আমরা দোকানের ফ্লোর ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।