সাপ্তাহিক ছুটির দিন দেখে সক্রিয় হচ্ছে পাবনা সদর উপজেলার চরঘোষপুরের বালু সিন্ডিকেট। সন্ধ্যা নামলেই সক্রিয় হয়ে উঠে এরা। চরঘোষপুর, কুটিপাড়া, লাইব্রেরী বাজার, জজকোর্ট ও অনন্ত বাজার রুটে চলছে এমন অসংখ্য ড্রামট্রাক।
এসব গাড়িতে নাই কোন বালু ঢাকা ত্রিপল। যার কারনে চলন্ত অবস্থায় বালু গুলো বাতাসে মানুষের চোখ, নাক, মুখসহ ছরাচ্ছে সারা শরীরে। এতে একদিকে হচ্ছে বায়ু দূষণ আন্যদিকে বারছে মানুষের বিরম্বনা।
পথচারী রবিউল ইসলাম জানান, এইমাত্র ডাক্তারের কছে থেকে এলাম। আমার এলার্জিজনিত রোগ। ধূলাবালু থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার কিন্তু দেখুন এইমাত্র একটা ড্রামট্রাক এসে সারা শরীরে বালু ছিটিয়ে দিয়ে গেলো। রাস্তায় বের হলে মাঝে মদ্ধেই এমন হচ্ছে।
রিক্সা চালক ওসমান গনি জানান, এসব গাড়ির পিছনে পরলে চখে মুখে বালু চলে যায়, চোখ চুলকায়, দাঁতের নিচে পরে, চুলে আটকে যায় এবং গা চুলকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানী জানান এসব ধূলা বলুতে দোকান ভরে যায়। কত আর পরিস্কার করবো। নোংরা পণ্য কাস্টমার নিতে চায় না। গাড়ি তো আর বন্ধ হবেনা, বালু গুলো ঢেকে যদি গড়ি চলতো
তহলে হয়ত ধূলা কম হতো।
কুটিপাড়া এলাকার এক বাসিন্দা জানান রাস্তার কাছে বাড়ি হাওয়াতে আমরা বাড়ীর দরজা জানালা বন্ধ রেখেও নিস্তার পাচ্ছি না, বাসার ভেতর প্রচুর ধূলাবালু ঢোকে,বিছানা, আসবাবপত্রে,খাবার টেবিলেসহ সবখানে এসব ধূলাবালু জমে থাকে। এভাবে চলতে থাকলে বাড়ির শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ অসুস্থ হয়ে পরছে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার
(ই এন ও) নাহারুল ইসলামে এর কাছে জনতে চাইলে তিনি বলেন আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম জনসাধারণের ভোগান্তি হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তিনি।