বাঙ্গালী পুরুষদের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে বিভিন্ন সময়ে বিদেশী ললনাদের বাংলাদেশে আগমনের ঘটলেও এবার ঘটেছে তার উল্টো ঘটনা।

বাঙ্গালী পুরুষদের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে বিভিন্ন সময়ে বিদেশী ললনাদের বাংলাদেশে আগমনের ঘটলেও এবার ঘটেছে তার উল্টো ঘটনা। 
এবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি গ্রামের দলিল লেখক কামরুজ্জামান মানিকের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মল্লিকা খাতুনের সাথে প্রেমের টানে শাহজাদপুরের পোতাজিয়ার অজপাড়া গাঁয়ে  ছুটে এসেছেন ইউরোপের দেশ তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক।গত তিনদিন আগে প্রেমিকা মল্লিকা খাতুনকে বিয়ে করতে আসেন ওই যুবক। এবং ইসলামী বিধান মোতাবেক গত রবিবার দুইজনের বিয়ে পড়ানো হয়েছে।বিষয়টি জানার পর উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন মল্লিকাদের বাড়িতে। বিদেশি জামাই দেখে সকলেই খুশি।কনে মল্লিকা খাতুন বলেন, প্রায় তিন বছর আগে মল্লিকা খাতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সট্র্রোগ্রামে নিজের আইডিতে নিজের ছবি পোস্ট করেন। সেই ছবি দেখে তাকে পছন্দ করেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক। এরপর উভয়ের কথোপকথন থেকেই শুরু হয় মন-দেওয়া নেয়া। এসময় মল্লিকা খাতুন আরো বলেন, আমাদের এক আত্মীয় তুরস্কে মুস্তফা ফাইকের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। দীর্ঘ দিনের প্রেমের পরিণতি ঘটাতেই প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে তাদের বাড়ীতে আসেন মুস্তফা ফাইক। 
গত সোমবার রাতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে মুস্তফা এবং মল্লিকা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।এখনো মুস্তফা ফাইক তার শ্বশুর বাড়িতেই রয়েছেন।যুবক মুস্তফা ফাইক বলেন, মল্লিকাকে ভালোবেসে প্রেমের টানেই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। এবং উভয়ের পরিবারের সম্মতিতেই বিয়েও করেছেন মল্লিকাকে। প্রেমিকা মল্লিকা খাতুনকে বিয়ে করতে পেরে তিনি আনন্দিত ও উৎফুল্ল। এছাড়াও বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতি তাকে আকৃষ্ট করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মুখরোচক সুস্বাদু খাবার ফুসকা ও বিরিয়ানি খুবই পছন্দ।মল্লিকার নানা ও মামাসহপরিবারের লোকজন  বলছেন, মেয়ের আশা ছিল বিদেশি ছেলের সাথে বিয়ে হবে। মেয়ের মনের আশা পুরণ হওয়ায় আমরাও খুশি। তাদের পাসপোর্ট ভিসা প্রসেসিং কাজ চলছে। আগামী পনেরো দিনের মধ্যেই নবদম্পতি দুজন তুরস্ক চলে যাবেন বলে জানাগেছে।