প্রায় ২০ বছর আগে কেনা জমি থেকে উচ্ছেদ করতে জমি বিক্রেতার ছেলের মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ হেলাল খান ও তার সন্তানরা।

প্রায় ২০ বছর আগে কেনা জমি থেকে উচ্ছেদ করতে জমি বিক্রেতার ছেলের মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ হেলাল খান ও তার সন্তানরা। তাদের তোলা ঘরে আগুন দিয়ে উল্টো তাদের নামেই ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার মামলা করেছে জমি বিক্রেতা একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নয়ন মৃধার ছেলে যুবদল কর্মী সুজন মৃধা।(১৮ নভেম্বর) সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা হেলাল খানের স্ত্রী সাবেক ইউপি সদস্য সাবেরা আক্তার কনিকা।তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০০৪ সালে কলাপাড়ার বনাতিপাড়া মৌজা থেকে নিজের এবং তার স্বামী হেলাল খান এবং দেবর কামাল খানের নামে ৬৯ শতাংশ জমি কিনেন বিএনপি নেতা আবু নয়ন মৃধার কাছ থেকে।গত ২০ বছর ধরে তারা এ জমিতে ঘরবাড়ি তুলে বসবাস করছেন। কিন্তু নয়ন মৃধার ছেলে সুজন এ জমি থেকে তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা চালায়। তাদের উপর একাধিকবার হামলার ঘটনাও ঘটে। এ নিয়ে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর তাদের একটি ঘরে আগুন লাগে।এ ঘটনায় সুজন মৃধা পুড়ে যাওয়া ঘর তাদের দাবি করে গত ১৩ নভেম্বর কলাপাড়া থানায় তার স্বামী হেলাল খান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই ছেলেসহ সাতজনের নামে মামলা করে।সাবেরা আক্তার কনিকা বলেন, বিএনপি পরিবারের সদস্য হয়েও তার স্বামী, সন্তানদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে মিথ্যা মামলার আসামি হয়ে। অথচ গত ২০ বছর ধরে তারা এই জমিতে বসবাস করছেন।তিনি বলেন, আবু নয়ন মৃধা জমি বিক্রি করেছে, অথচ এখন তার ছেলেরা পেশিশক্তির জোরে বাবার বিক্রি করা জমি থেকে ৫০ শতাংশ জমি দখল করতে চাচ্ছেন। তারা এ ঘটনায় সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। একই সঙ্গে তাদের ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।এ ব্যাপারে লালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. আলমগীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জমি কেনার বিষয় আমি জানি, উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে ডেকেছিলাম। কিন্তু একপক্ষ আসলেও সুজন মৃধার পক্ষ আসেনি। তবে দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ জোর করে জমি দখল করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সুজন মৃধা বলেন, তার বাবার বিক্রি করা জমি অন্য দাগে। কিন্তু হেলাল খান ও তার ভাই আমাদের জমি দখল করে আছে। আমাদের তোলা ঘরে আগুন দিয়েছে তারা। তাই থানায় মামলা করেছি আমরা।