দিনাজপুরের বীরগঞ্জে শ্বশুর বাড়ি থেকে জামাই মো: আলম (৩৮) গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলম সদর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ইউনিয়ন খামার খড়িকাদম গ্রামের আব্দুর রউফ এর ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডাবরা জিনেশ্বরী এলাকার আব্দুল গফুরের মেয়ে শিল্পী আক্তার (৩০) এর সাথে বিয়ে হয় মরিচা খামার খড়ি কাদাম গ্রামের বাসিন্দা আলমের সাথে। বিয়ে পর স্ত্রী -সন্তান নিয়ে সুখে সংসার করেন তারা। আলম নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে শিল্পী ও আলমের মধ্যে। একপর্যায়ে স্বামীর বিরুদ্ধে বীরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডাইরি করেছিল শিল্পী আক্তার। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের সহ এলাকার গন্যমান্য লোকজনেরা বেশ কয়েকবার পারিবারিক কলহ নিরসনের চেষ্টায় করেন। গত একমাস পূর্বে আলম ও শিল্পীর ছাড়াছাড়ি হয়।
আলম স্ত্রীকে ভুলতে না পারে সোমবার গভীর রাতে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। স্ত্রীর অভিমান ভাঙাতে ব্যর্থ হয়ে শ্বশুর বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি ঝিঙ্গন গাছের সাথে রশির সাহায্য গলায় গামছা বেঁধে আত্নহত্যা করে আলম।
শ্বশুর বাড়ির লোকরা জানান, রোববার সন্ধ্যায় বেড়াতে আসেন আলম। সকালে তার লাশ ঝিঙ্গন গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলমের লাশ উদ্ধার করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, ‘আলম কি কারণে শ্বশুর বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি গাছে গলায় ফাঁস দিয়েছে তা বলতে পারছি না।’
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুল গফুর জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।তবে বীরগঞ্জ থানা একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।