আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া বিধ্বস্ত ভৈরব থানা পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগন্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম। গত ৫ আগস্ট সোমবার দুর্বত্তরা ভৈরব থানার মুল্যবান কাগজপত্র, অস্ত্র, পুলিশের গাড়ীতে আগুন, চেয়ার টেবিল, কম্পিউটার, ওয়ারলেসসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি লুটপাট করে থানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। থানার দরজা জানালা পর্যন্ত লুট করা হয়।
এদিন দুর্বত্তদের ভয়ে আতংকে জীবন বাঁচাতে থানায় কর্মরত ওসিসহ সব পুলিশ পালিয়ে যায়। বর্তমানে থানা অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। পুলিশের নতুন মহা- পরিচালকের নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার কোন পুলিশ ভৈরব থানায় যোগদান করেনি। থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোবাইলে এই প্রতিনিধিকে বলেন, পুলিশ নিরাপত্তা না পেলে কিভাবে বসবে, কোথায় বসবে, কি করবে। থানা ধ্বংস।
ঘটনার তিনদিন পর বিএনপি নেতা শরীফুল আলম আজ দুপুর ১২ টায় ভৈরব থানার সবকিছু পরিদর্শন করেছেন। এর আগে শহরের জগনাথপুর এলাকায় তিনি দলীয় একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। এসময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপি নেতা হাজি শাহিন, মুজিবুর রহমানসহ কয়েকশ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ভৈরব থানা পরিদর্শন করে শরীফুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, যারা থানা লুটপাট আগুন দিয়েছে তারা আমার দলের লোক নয়। দুর্বত্তরাসহ অতিউৎসাহী খারাপ লোক ও টোকাইরা এঘটনা ঘটিয়েছে। সব পুলিশ খারাপ আমি বলবনা। উর্ধতন পুলিশ অফিসারের নির্দেশে পুলিশ কাজ করে। তাই পুলিশের ওপর যারা আক্রমন করেছে তারা দুর্বত্ত। পুলিশ থানায় ফিরে এলে আমরা সহযোগীতা করব। তিনি দলীয় নেতৃবৃন্দকে শান্ত থাকার আহবান জানান।
প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা নয়, যারা বিএনপির নেতাকর্মীদের অত্যাচার নির্যাতন করেছে তাদের বিচার করা হবে, তবে সময় এখনও আসেনি। সামনে অনেক কাজ, দলের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জনগনের ভালবাসা পেতে হবে। তিনি বলেন আমি পুলিশ প্রশাসনসহ প্রশাসনের ইউএনও, সেনাবাহিনীর সাথে আলোচনায় বসব। আইনশৃংখলা ঠিক রাখতে থানায় পুলিশ বসতে হবে। ঘরবাড়ী, দোকানপাট, মন্দির লুটটরাজ, নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যাবেনা বলে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের হুসিয়ার করেন। তিনি নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে পাহারা দেয়ার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগীতা কামনা করেন।