কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিষাক্ত ও দুষিত চিনির সাথে ফিটকারী, হাইড্রোজ ও রং মিশিয়ে তৈরি করছেন মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক ভেজাল গুড়।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিষাক্ত ও দুষিত চিনির সাথে ফিটকারী, হাইড্রোজ ও রং মিশিয়ে তৈরি করছেন মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক ভেজাল গুড়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে কারখানাটি। গতকাল সোমবার রাত ৯টায় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পৌর শহরের রানীর বাজার শাহী মসজিদের সামনে মিশুক ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ভেজাল গুড় তৈরি কারখানা দেখতে পায় সাংবাদিকরা। মিশুক বাবুর পরিচালনায় কারখানাটি পরিচালনা করছেন তারই ছেলে শিমুল পোদ্দার।কারখানা গিয়ে দেখা যায়, দুষিত চিনি আর ফিটকারী, হাইড্রোজ ও রং দিয়ে তৈরি করছে ভেজাল গুড়। সত্যতা দেখে এসময় কয়েকজন সাংবাদিক উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করলে তারা ঘটনাস্থলে আসতে রাজি হয়নি। অদৃশ্য কারণে প্রশাসনের অনুপস্থিতি রহস্যের হয়ে রয়ে গেছে। এই কারখানাকে এর আগেও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এই গুড় স্বাস্থ্য সম্মত নয়। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ভেজাল জিনিস পত্র দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে যা মানুষের খাবারের উপযোগী নয়। এ কারনে আমি কারখানাটি তালাবদ্ধ করে চাবি রেখে দিয়েছি বলে জানান উপেজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর নাসিমা বেগম। এ বিষয়ে কথা হলে নবাগত উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন সাংবাদিকদের জানান ৫ নভেম্বর সকালে অভিযোগের ভিত্তিতে কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করবেন। কারখানার মালিকের ছেলে শিমুল পোদ্দার এলাকাবাসি স্যানেটারী এন্সপেক্টর নাসিমা বেগম  শবনম শারমিন ,উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ,ভৈরব ।এ বিষয়ে উপজেলা প.প. কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, ভেজাল সব খাবারই মনব দেহের জন্য ক্ষতিকর। চিনি, ফিটকারী, হাইড্রোজ ও রং ব্যবহার করে তৈরি গুড় খেলে মানবদেহের অনেক ক্ষতি হবে।। প্রতিটি উপাদানই ক্ষতিকারক। এই ভেজাল গুড় মানুষের পেটে বেশি সমস্যা হবে। এতে করে লিভার নষ্ট হতে পারে। ধীরে ধীরে মানবদেহে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিবে।