নিজেদের ক্ষেত-খামারে উৎপাদিত পণ্য নিজেরাই ভোক্তা সাধারণের হাতে তুলে দিচ্ছেন ন্যায্যমূল্যে।

নিজেদের ক্ষেত-খামারে উৎপাদিত  পণ্য নিজেরাই ভোক্তা সাধারণের হাতে তুলে দিচ্ছেন ন্যায্যমূল্যে। মধ্যস্বত্তভোগীদের দ্বারে-কাছে না গিয়ে স্থানীয় বিনির্মাণ ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে খোলা ‘ন্যায্য মূল্যের বাজার’ নামের দোকানে কৃষক বা উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে তাদের উৎপাদিত পণ্য সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। এতে ক্রেতা যেমন খুশি, কৃষকও পাচ্ছেন ন্যায্যমূল্য।সোমবার (১১ নভেম্বর) বিনির্মাণ ছাত্র সংগঠনের উপদেষ্টা নাসির উদ্দিনের সার্বিক সহযোগিতায় সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা অবধি মিরসরাই উপজেলা সদরের ফুটওভার ব্রিজের নিচে অস্থায়ী ন্যায্য মূল্যের বাজারে ক্রেতার ভীড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। ন্যায্য মূল্যের বাজারে পণ্য বিক্রি হয় সাধারণ বাজারের তুলনায় বেশ কম।ওইদিন সকাল ১০টার দিকে বিনির্মাণ ছাত্র সংগঠনের খোলা ন্যায্য মূল্যের বাজারে গোলাম মর্তুজা, জোবায়ের ও নুরুল আলমসহ একাধিক ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ন্যায্য মূল্যের বাজারে সাধারণ বাজারের তুলনায় কম দামে তারা পণ্য কিনতে পেরেছেন। তারা দাবি জানান, বাজারের সিন্ডিকেট দমন করতে এ ধরণের কর্মসূচি আরো বেশি কিছুদিন চালিয়ে যেতে হবে। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কৃষকের বাজার বসেছিলো।এসময় ক্রেতারা বলেন, ‘আমরা বাজার সামগ্রীর উর্ধগতিতে অতিষ্ঠ।’ তারা এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন বিনির্মাণ ছাত্র সংগঠনের আহবায়ক তানভীর হোসেন বলেন, ‘বাজার কারসাজি দমন করতেই কালোবাজারিদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রæত বাজার নিয়ন্ত্রণ করে দাম জনগণের সহনীয় মাত্রায় না আনতে পারলে এমন কর্মসূচি অব্যহত থাকবে’।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিনির্মাণ ছাত্র সংগঠনের আহবায়ক তানভীর হোসেন, সদস্য সচিব শাখাওয়াত হোসেন রানা, কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম-আহবায়ক ফারহান তানভীন শুভ, সাজ্জাদ সজিব, মোহাম্মদ ইসমাইল, সদস্য শরীফুল ইসলামসহ বিনির্মাণের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।