বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে,খুলনা সিটি কর্পোরেশনাধীন সোনাডাঙ্গা থানার অন্তর্গত মেট্রোপলিটন কলেজ খুলনা, সবুজবাগ,সোনাডাঙ্গা,খুলনা-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মহোদয় জনাব দিবাকর বাওয়ালী উন্নত চিকিৎসার জন্য বিগত ১৪/০৮/২০২৪ তারিখে ছুটি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার পরে কলেজের একটি বিপদগামী শিক্ষক গ্রুপ অবৈধ একটি কমিটির জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়ে আসে। যার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রিট পিটিশন ১২৫৩২/২৪- এর আদেশ অনুযায়ী উক্ত এডহক কমিটি অবৈধ ঘোষিত হয়। তাছাড়া বিগত ইংরেজি ০২/০৭/২০২৫ তারিখে উক্ত এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হইয়াছে। এখন অত্র প্রতিষ্ঠানে কোন বৈধ কমিটি নাই। উল্লেখিত অবৈধ এডহক কমিটি এখনো বিএনপি দলীয় নাম ভাঙিয়ে মাসুদ পারভেজ বাবু,এ্যাডভোকেট হালিমা খাতুন সহ অবৈধ ইয়াসিন আরাফাত এবং কতিপয় ষড়যন্ত্রকারী ও উল্লেখিত ইভটিজিং কারী শিক্ষক ও ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মাহবুবুর রহমান শামীমকে নিয়ে অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ এডহক কমিটির দায়িত্ব পালন করছে যাহা মাননীয় জেলা প্রশাসক,কলেজ পরিদর্শক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহাপরিচালক(মাউশি) সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করা হয়েছে।
উক্ত অবৈধ কমিটির সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু, অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ কলেজের সহকারী অধ্যাপক রওনাকুজ্জামান সাহেব কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ ছাড়ার জন্য মাসুদ পারভেজ বাবু তার নিজস্ব ০১৭১১ ১৩১৫৮৪ মোবাইল নম্বর দিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। যার কারণে রওনাকুজ্জামান বিগত ইংরেজি ০৮/১২/২০২৪ তারিখে পুলিশ কমিশনার খুলনা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাছাড়া উক্ত মাসুদ পারভেজ বাবু বিগত ১৬/০৩/২০২৪ তারিখে কলেজের মাউশি কর্তৃক একটি তদন্ত চলাকালীন সময়ে কলেজের অফিস সহায়ক আকাশ দাস কে মারপিট করে এবং সালমা আক্তারকে আলাদা করে ডেকে নিয়ে হুমকি এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাছাড়া তার সঙ্গে আরো দুর্ব্যবহার করে এবং প্রতিনিয়ত তাকে চাপের মধ্যে রাখে যাতে কোন বিষয়ে যেন মুখ না খোলে এবং তার চরম ক্ষতি হবে বলে ভয়-ভীতি দেখায়।
মোঃ তাইফুজ্জামান কলেজের কতিপয় মহিলা শিক্ষিকাকে ২০০৭ সালে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় এবং অন্যথায় তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি প্রদান করে। যার ১৫/০২/২০০৭ সালে ঐ মহিলা শিক্ষিকার লিখিত অভিযোগ অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছে জমা দিয়েছেন এবং নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক শিক্ষিকা বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করেন। তাছাড়া মোঃ তাইফুজ্জামান অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পর আবারও ঐ শিক্ষিকাকে উত্যক্ত করতে থাকে বলে অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিকট তিনি মোবাইলে অভিযোগ করেন যার অডিও কল রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে। কলেজের ইসলামিক শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক মোঃ আব্বাসী উক্ত শিক্ষিকাকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বেশ্যা বলে আখ্যায়িত করে ।তাছাড়া কলেজের কম্পিউটার প্রদর্শক শেখ মইন উদ্দিন একটি ভিডিও রেকর্ড করে কলেজের কতিপয় একজন সহকারী অধ্যাপক মহিলা ও একজন জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মহিলা শিক্ষিকার মোবাইল নম্বরে ইন্সাল্ট করে অডিও রেকর্ড ছেড়ে দেয় এবং উল্লেখিত ম্যাডাম দের মোবাইল নম্বরে প্রেরণ করে।যা ইভটিজিং এর পর্যায়ে পড়ে।
কলেজের বাংলা বিষয়ের প্রভাষক মাহাবুবুর রহমান মোড়ল কলেজের নিচতলায় ডিউটি রত দারোয়ানের নিকট বসে থাকেন এবং কলেজের ম্যাডাম এবং ছাত্রীরা যাতায়াতের সময় তিনি বিভিন্ন রকম বাজে মন্তব্য করেন। যা প্রমাণিত এবং তার বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিকট অভিযোগ রয়েছে। কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মাহবুবুর রহমান শামীম ক্লাস চলাকালীন সময় মেয়েদের গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা এবং হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করা সহ কলেজের বিভিন্ন শিক্ষকরা ভালো পাঠদান করাতে পারেনা মর্মে মন্তব্য করা এবং নিজেকে অত্র খুলনা অঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি সকল কলেজের শ্রেষ্ঠ ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে দাবি করা। কিন্তু দেখা যায় যে,কলেজ প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে এ যাবতকাল পর্যন্ত ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষার ফলাফল সর্বনিম্ন হার এবং অসন্তোষজনক। যার কারনে পরীক্ষার ফলাফল ২৫%- ৩০% এর উর্ধ্বে নয়। সে কারণেই বিগত ২০২৩ সনে পরীক্ষার ফলাফল চরম খারাপ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যশোর বোর্ড কে ইংরেজি সহ পরীক্ষার ফলাফল ভালো করার শর্তে অঙ্গীকারনামা দিয়ে আসতে হয়েছে। অন্যথায় কলেজের এমপিও (বেতন ভাতা বন্ধ করলে কলেজ কর্তৃপক্ষের কোন দাবি থাকবে না)।
অত্র কলেজের ১৬ জন প্রভাষক শিক্ষক কর্মচারীর জাল সার্টিফিকেট অবৈধ নিয়োগ সরকার ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে বিদেশ গমন করে তারা বহাল তবিয়তে চাকরি করছে ।কলেজে যেয়ে কোন শিক্ষককে পাওয়া যায় না নিয়মিত ক্লাস হয় না বেতন ভূক্ত শিক্ষকরা অধিকাংশ জমির ব্যবসা, শেয়ার ব্যবসা, ওষুধ ব্যবসা, কোচিং ব্যবসা নিয়ে পড়ে থাকে। কলেজে কাম্য সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী নেই ।পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় হতে হতে তলানীতে ঠেকেছে অধিকাংশ সাবজেক্টে ছাত্র ছাত্রী নেই দুই তিন জন করে ছাত্র ছাত্রী বিজ্ঞান বিভাগে। জানা যায় ছয় জন ছাত্র ছাত্রী শিক্ষক কর্মচারী বেতন নেয় সাত জন সরকারের কলেজটির এমপিও বন্ধ করে দেয়া উচিত কলেজে সরকারি সম্পদ চুরি ও একটি তদন্ত চলাকালীন সময়ে মারামারির বিষয় নিয়ে খুলনা বিজ্ঞ জজকোর্ট আদালতে ফৌজদারি মামলার প্রেক্ষিতে বর্তমানে দুইটা মামলার পিবিআই তদন্ত চলমান বর্তমানে জানা যায় কলেজে এগারোটার বেশী ফৌজদারি সিভিল মামলা চলমান। তাছাড়া বর্তমানে কমিটি বিহীন ও অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দ্বারা কলেজ পরিচালিত হচ্ছে।
এমতাবস্থায় কলেজের ম্যাডামরা এবং ছাত্রীরা রক্ষকদের দ্বারা ইভটিজিং ও আরো নিগৃহীত হওয়ার আতঙ্কে তারা কেউ বেশি সময় কলেজে থাকতে পারেন না এবং শেষের দিকে ক্লাস থাকলেও তারা ক্লাসে বা অফিস রুমে থাকেন না ।কলেজটি এখন একটি মহিলা শিক্ষক এবং ছাত্রীদের জন্য আতঙ্কের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে।