এসময় আমি বাসায় না থাকায় আমার বৃদ্ধ বাবা, ছোট ভাই, আমার স্ত্রী ও আমার ছেলে মেয়েকে গুম ও খুনের হুমকি দিয়ে যায় তারা। বর্তমানে আমি প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম তার ছেলে আদিব ও ভাই মিরনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সহকারী শিক্ষক সোহেল আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা ভিত্তিহীন। এগুলো তিনি তার ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটানোর জন্যই করেছেন।

ঝালকাঠির রাজাপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।

একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মাহাবুব মোর্শেদ সোহেল এ অভিযোগ করেন।সহকারী শিক্ষক মাহাবুব মোর্শেদ সোহেল জানায়, ২০১৫ সাল থেকে এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক  জাহিদুল ইসলাম বিদ্যালয়ে ১৭জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে দেড় কোটি টাকার বানিজ্য করেন। এছাড়া চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাতের আঁধারে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেন তিনি। তাছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ের কোষাগার থেকে এই ৯ বছরে কয়েকলাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এসব ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে আমার উপর চড়াও হয় প্রধান শিক্ষক জাহিদ। ঘটনাটি পরবর্তীতে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ২৫ আগস্ট রবিবার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচীর ঘোষণা দেন।এদিকে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা জানতে পেরে প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলামের ছেলে আদিব ও তার ছোট ভাই ইন্দ্রপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিরন ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ মিছিল দিয়ে রবিবার সকালে আমার বাসায় যায় ।

এসময় আমি বাসায় না থাকায় আমার বৃদ্ধ বাবা, ছোট ভাই, আমার স্ত্রী ও আমার ছেলে মেয়েকে গুম ও খুনের হুমকি দিয়ে যায় তারা। বর্তমানে আমি প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম তার ছেলে আদিব ও ভাই মিরনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সহকারী শিক্ষক সোহেল আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা ভিত্তিহীন। এগুলো তিনি তার ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটানোর জন্যই করেছেন।