বগুড়ারশিবগঞ্জ উপজেলায় শীতকালীন সবজি ও রবি শষ্য চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা।

বগুড়ারশিবগঞ্জ উপজেলায় শীতকালীন সবজি ও রবি শষ্য চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। কৃষকদের মধ্যে কেউ জমি তৈরি করছেন, কেউ জমিতে বীজ বা চারা রোপণ করছেন। কেউ আবার জমিতে গজিয়ে ওঠা সবজির চারা গাছের পরিচর্যা করছেন। ক্ষেতের পর ক্ষেত যেদিকে চোখ যায় শুধু শীতের সবজি চাষাবাদের দৃশ্য। সবজি ক্ষেত নিংড়ানো, আগাছা পরিষ্কার ও পানি দিতে ব্যস্ত কৃষকরা।উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে শোভা পাচ্ছে শশা, ফুলকপি,বাঁধাকপি, মুলা, টমেটো,পটল,বেগুন,পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতের সবজি।উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া,আচঁলাই,পাড় আচঁলাই,টেপাগাড়ি,অর্জুনপুর,বেড়াবালা, আকন্দ পাড়া সহ একাধিক গ্রাম ঘুরে শীতের সবজি চাষে কৃষকদের কর্মব্যস্ততার এমন দৃশ্য দেখা যায়।রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের কৃষক তপু মিয়া বলেন,অন্যান্য ফসলের চেয়ে শীতকালীন সবজি চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়।এ কারণে আমি প্রতিবছরই সবজি চাষ করি, তাতে বাজারে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদাও থাকে আবার লাভবান হওয়া যায়।বেড়াবালা গ্রামের কৃষক জুয়েল বলেন,যে কোন ফসল আগাম চাষ হলে বাজারে চাহিদা বেশি থাকে, তাই মুনাফা অনেক বেশি হয়।অল্প সময়ে কম খরচে অধিক মুনাফা লাভের জন্য ফুলকপি ও বাঁধাকপির জুড়ি নেই। পানি জমে না এমন জমি কপি চাষের জন্য উপযুক্ত। তিনি এবার ছয় বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন।কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়,অতি ঝড়-বৃষ্টি ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে এই সবজি চাষে খরচ বেশি হচ্ছে বলে জানান।উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর এর তথ্য মতে,চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় শীতকালিন সবজি আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৫০ হেক্টর। এর মধ্যে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে প্রায় ১০৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ হচ্ছে।উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন,শীতকালীন শাক-সবজি উৎপাদনে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। কৃষিবিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। শাক-সবজি চাষ কীভাবে বাড়ানো যায়, সে লক্ষ্যে পরামর্শের পাশাপাশি কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কৃষি অফিস সব সময় কৃষকদের পাশে আছে।