রবিবার ভোররাতে আনুমানিক ৪টা’র দিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের খন্দকার রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শ্যামপুর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে—নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই কর্মী, যুবলীগ নেতা শাকিল বিন সামস ওরফে রাব্বি’র নির্দেশে, শ্যামপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করে। তবে তৎপরতায় সিয়াম সরকারকে ঘটনাস্থলেই গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গী রাফসান নামে অপর এক কর্মী কৌশলে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম সরকার স্বীকার করেছে, সে ও পলাতক রাফসান মিলে এলাকায় নাশকতার উদ্দেশ্যে বাসে অগ্নিসংযোগ করতে এসেছিল। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় ও নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর শ্যামপুর মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।