জাহিদ ফারুককে রোববার বিকেলে ঢাকার বারিধারার নিজ বাসভবন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করেন। পরে সোমবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে তাকে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বরিশালে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীমকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (সিএমএম) মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার জয়নাল আবেদীন ভূঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জাহিদ ফারুককে রোববার বিকেলে ঢাকার বারিধারার নিজ বাসভবন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করেন। পরে সোমবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে তাকে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বরিশালে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিএনপি র জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তাকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলায় আরও ৩৮১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ৬০০-৭০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।গত ২৩ আগস্ট, বিএনপি বরিশালে তাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের জন্য জাহিদ ফারুক শামীম কে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বরিশাল সদর (৫) আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও।

জাহিদ ফারুক কে কারাগারে পাঠানোর খবরের পর বরিশালের আদালত চত্বরে আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে মিষ্টি বিতরণ করেন বরিশাল জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এবং শিক্ষানবিশ আইনজীবী মশিউল আলম খান পলাশ। তিনি জানান, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম।পলাশের ভাষ্য অনুযায়ী, সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের প্রভাবের কারণে বিএনপির কর্মীরা সরোয়ারের প্রচারণায় অংশ নিতে ভয় পেতেন।

তিনি নিজেও সরোয়ারের প্রচারণায় সক্রিয় ছিলেন এবং বরিশাল সদর উপজেলার ১০ নং চন্দ্রমোহন ইউনিয়নে একবার ভোট চাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় দ্রুত ফিরে আসতে হয়েছিল। এ সময় পুলিশ তাদের নৌপথে ধাওয়া করে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। এরপর তিনি স্পিডবোটে থেকে পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশের হাতে আটক হন এবং মিথ্যা মামলায় বেশ কয়েকদিন জেলে ও ছিলেন।পলাশ বলেন, "স্বৈরাচার সরকারের দোসর মন্ত্রীকে আজ আমার মতো তাকে ও কারাগারে যেতে হয়েছে, এটি আল্লাহর ন্যায় বিচার।"