আর সিনেমার নামে চলে এসব অসামাজিক চিত্র। তথাকথিত কিছু দর্শক সিনেমা দেখার নামে প্রবেশ করে নারী ও মাদকের নেশায়।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার খাড়াজোড়া এলাকায় রজনী সিনেমা হলের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে চলছে মাদক ও নারীর অসামাজিক রমরমা ব্যবসা। সিনেমা হল যে নিয়মে চলে তার কোনটিই নেই এখানে। ভেতরে প্রবেশের পর টাকা দিলে নারী মিলে। পাওয়া যায় মাদক। এটি শুধু নামেই সিনেমা হল। উপজেলার খাড়াজোড়া এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে ওই সিনেমা হল। সিনেমা হলটিতে তেমন কোনো স্বনামধন্য আধুনিক সিনেমা চলে না। হলে দেখা দর্শনার্থীদের ভিড় তেমন একটা চোখে পড়ে না।

নেই উন্নত প্রযুক্তি। শুধু অসামাজিক চিত্রের কিছু পোস্টার সাটিয়ে রাখা হয় লোকজনের দৃষ্টি কাড়তে। আর সিনেমার নামে চলে এসব অসামাজিক চিত্র। তথাকথিত কিছু দর্শক ছিনেমা দেখার নামে প্রবেশ করে নারী ও মাদকের নেশায়। হলের ভেতরেই দেহ ব্যবসা চক্রের একদল সদস্য থাকে। যাদের হাত ধরেই ভেতরে চলে নারী সঙ্গ, মাদক বেচাকেনা ও সেবন। উঠন্ত বয়সের কিশোর-কিশোরী ও শিক্ষার্থীদের প্রবেশ লক্ষ্য করা যায় হলটিতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগেও এমন কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ওই সিনেমা হল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

তবে বন্ধের কয়েক মাস পর মালিকানা বদলে কৌশলে ফের চালু করা হয় ওই ছিনেমা হল। মহাসড়কের পাশে অসামাজিক এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত হচ্ছেন অনেক পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে হলে চলছে এইসব কর্মকাণ্ড। এসব ব্যাপারে রজনী সিনেমা হলের মালিক (মজনু মিয়া) সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন দেহ ব্যবসা ছাড়া কোনো ছিনেমা হল চলে না। আমি সব কিছু ম্যানেজ করেই হল চালাই। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, ওই হলের ব্যাপারে এমন খবর আমার জানা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেব।