সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহি দেওয়ান হাছন রাজার জমিদারী সম্পত্তির উত্তরাধিকার থাকা সত্বে ও সকল সহায় সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার ঘটনার প্রতিবাদে এবং সম্পত্তির অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছেরবিবার সকাল ১১টায় হাছন রাজার উত্তরাধিকারী সুমী চৌধুরী ও শহরের তেঘরিয়া নিবাসী তার স্বামী লিটন ইসলাম ভূইয়াসহ স্বজনদের উদ্যোগে শহরের শহীদ জগতজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এতে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্র মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাছন রাজার উত্তরাধিকারী সুমী চৌধুরী ও তার স্বামী লিটন ইসলাম ভূইয়া।লিখিত বক্তব্যে সৃুমী চৌধুরী বলেন,দেওয়ান হাছন রাজার মৃত্যুর পর দেওয়ান গণিউর রাজা চৌধুরী,দেওয়ান হাসিনুর রাজা চৌধুরী,দেওয়ান একরামুর রাজা চৌধুরী রামপাশার জমিদার,দেওয়ান আফতাবুর রাজা চৌধুরীকে রেখে যান। দেওয়ান হাছন রাজা তখন প্রথম ও জেষ্ট্যপূত্র হিসেবে আমার পিতামহ খান বাহাদুর দেওয়ান গণিউর রাজা চৌধুরী জমিদারী পরিচালনার দায়িত্ব পান এবং ১৯৩২ সালে আমার পিতামহ মারা যাওয়ার দুইবছর আগে অর্থাৎ ১৯৩০ সালে আমার পিতা ও দেওয়ান আফতাবুর রাজা চৌধুরী জমিদারী পরিচালনার দায়িত্ব পান। আমার পিতামহ খান বাহাদুর দেওয়ান গণিউর রাজা চৌধুরীর ঔরসজাত দুই সন্তান হিসেবে দেওয়ান সুলেমান রাজা চৌধুরী ও আমার আপন দাদা দেওয়ান সুলতানুর রাজা চৌধুরী কেছর মিয়াকে রেখে যান। খান বাহাদুর দেওয়ান গণিউর রাজা চৌধুরী মারা যাওযার দুইবছর আগে ১৯৩০ সালে দুটি ওয়াকফ করে যান একটি হলো আগামী প্রজন্মের ভরনপোষনের জন্য টাকার পরিমান উল্লেখ করে ওয়াকফ করেন আরেকটি হলো সকল মসজিদ মাদ্রাসা ও এতিমখানা,কবরস্থান প্রতিষ্ঠায় ব্যয় করা এবং গরীব দুঃখী মানুষদেও সাহার্য্যে করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরেকটি ওয়াকফ করেন ১৯৩০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ইং তারিখে যার দলিল নং ৩৬৫৪। সেই ওয়াকফ দুটি দেওয়ান আফতাবুর রাজা ও তার বংশধরগণ ভেঙ্গে ফেলে সেই সকল যৌথ সম্পত্তি আত্মসাত করেছেন বলেও অভিযোগ তাদের। অবিলম্বে তাদের এই সম্পত্তির অধিকার ফিরিয়ে দিতে বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকার ও জেলা প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।