তিনির আগমণে সারাজাহান খুশিতে আত্মহারা। তিনি ছিলেন চাঁদের চেয়েও সুন্দর। জগত জননী হজরত আয়েশা রাযি. বলেন যদি জুলেখার সখিরা নবীজি সাঃ এর পবিত্র চেহার দেখতে পেত,তাহলে হাত কাটার পরিবর্তে নিজেদের অন্তর কেটে ফেলতো। কবির ভাষায় - হায় জুলেখা মজলো বৃথায় ইউসুফের ঐ রুপ দেখে দেখলে আমার নবীর সুরত যোগীন হত ভসম মেখে। উম্মুল মু' মিনিন হজরত আয়েশা রাযি. কাব্য আবৃত্তি করেন, যার অর্থ হলো - আকাশের আছে একটি সূর্য আর আমারও একটি সূর্য আছে আকাশের সূর্য উদিত হয় ফজরের পর,আমার সূর্য উদিত হয় ঈশার পর। (মিশকাত) ।
সত্যি যখন দিনের আলো নিভে যেত হজরত আয়েশা রাযি. এর ঘরে আরেক আলো উদিত হতো।সেই আলোর আভায় রাতের অন্ধকার মুছে চারিদিকে হতো নূরোজ্জল ও জ্যোতির্ময়। এ কথার জলন্ত প্রমান হজরত আয়েশা রাযি. এর বিবৃতিতে পাওয়া যায় তিনি বলেন- একদা রাতের বেলায় আমি কাপড় সেলাই করতেছিলাম, হঠাৎ আমার হাত থেকে সু্ঁই পড়ে গেল, আমি সুঁইকে তন্ন তন্ন করে খুজতে ছিলান,কিন্তু কোথাও পেলাম না। এমনি সময়ে রাসূল সাঃ এর আগমনের ফলে তাঁর পবিত্র চেহারার নূরানী আভায় সূচটি স্পষ্ট দেখতে পেলাম।
রাসূল সাঃ এর অনুপম সৌন্দর্যময় দেহাকৃতির বর্ননায় হজরত আলী রাযি. বলেন, নবীজি সাঃ অতি লম্বাও ছিলেন না অতি বেঁটেও ছিলেন না। তাঁর হাতের তালু ও পদযুগল ছিল মাংসল।মস্তক মেবারক বড় ছিলো, বড় ছিলো অংঙ্গ প্রতঙ্গের গ্রন্থিগুলো।বুক থেকে নাভী পর্যন্ত চুলের হালকা ডোরা ছিলো।তিনি যখন চলতেন মনে হতো কোনো উঁচু যায়গা থেকে নামছেন।আমি তাঁর মতো আর কাউকে দেখিনি। রাসূল সাঃ ছিলেন উম্মত দরদী, তিনি উম্মতের জন্য চিন্তা করতেন। তিনি ছিলেন সর্ব উত্তম চরিত্রের অধিকারী তিনি ছিলেন একাধারে সমাজ সংস্কারক,রাজনীতিবীদ, আর্দশ সিপাহসালার, পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আনতে আল্লাহর হুকুম পালন করবার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিদায় হজ্বের বাণীতে তিনি ইসলামের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে সব কিছু তুলে ধরেছেন। মেরাজ রজনীতে উম্মতের জন্য তিনি ৫ ওয়াক্ত নামাজ উপহার এনেছেন। যা সঠিক ভাবে আদায় করলে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেছেন নিশ্চয়ই নামায মানুষকে সমস্ত খারাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। কিয়ামতের ভয়াবহ দিনে তাঁর সুপারিশ ছাড়া কেউ রেহায় পাবেনা। রাসূল সাঃ এর আর্দশই পারে পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আনতে।