লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ইসলামী ওয়াজ মাহফিলে স্থানীয় প্রভাবশালীকে অতিথি না করায় মসজিদের ঈমামকে চাকুরীচ্যূত করার অভিযোগ উঠেছে মসজিদ কমিটির সভাপতি স্থানীয় প্রভাবশালী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ইসলামী ওয়াজ মাহফিলে স্থানীয় প্রভাবশালীকে অতিথি না করায় মসজিদের ঈমামকে চাকুরীচ্যূত করার  অভিযোগ উঠেছে মসজিদ কমিটির সভাপতি স্থানীয় প্রভাবশালী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।  ঈমামকে চাকুরীচ্যূত করার ক্ষোভে খোলা মাঠে জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।শুক্র বার (২২ নভেম্বর( দুপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে  আদিতমারী উপজেলার উত্তর ময়নার চওড়া জামে মসজিদ এলাকায়। ঈমামসহ স্থানীয়রা মসজিদে নামাজ আদায় করতে গেলে শহিদুল ডিলার ও তার লোকজন হুমকি প্রদান করায় দূর্ঘটনা এড়াতেতে খোলা মাঠে নামাজ আদায় করেন স্থানীয়রা। এ ব্যপারে ঐ এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।এর আগে গত  ৩ নভেম্বর ময়নার চওড়া উত্তরপাড়া জামে মসজিদ চত্তরে ইসলামী ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয় যুবসমাজ, এতে ময়নার চওড়া জামে মসজিদের সভাপতি, এসএবি ব্রিকস ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর আস্থাভাজন  শহিদুল ইসলাম ডিলার কে অতিথি না করায় তিনি স্থানীয় যুব সমাজ ঐ মসজিদের ঈমাম আবদুর রহিমের উপড় ক্ষেপে যান। ঐ দিন তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে ঈমামকে চাকুরীচ্যূত করার হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে থানা পুলিশের দারস্থ্য হয়েছেন  তিনি। অভিযোগ পেয়ে ১৫ নভেম্বর ( শুক্রবার)  আদিতমারী থানা পুলিশ মসজিদ প্রাঙ্গণে পাহাড়া বসিয়ে  নামাজ আদায় করে স্থানীয়রা। তবে শহিদুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা মসজিদে নামাজ আদায় না করে ঈমামকে আগামী শুক্রবার মসজিদে না আসার হুমকি প্রদান করেন।এ ব্যাপারে উত্তর ময়নার চওড়া জামে মসজিদের ঈমাম আব্দুর রহমান জানান, স্থানীয় যুবসমাজ প্রতিবারের ন্যায় এ বছর ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে এতে মসজিদ সভাপতি এসএবি ব্রিকস ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর আস্থাভাজন  শহিদুল ইসলাম ডিলার কে অতিথি না করায় তিনি স্থানীয় যুব সমাজের উপর ক্ষেপে যান। এবং আমাকে চাকুীচ্যূত করবার হুমকি প্রদান করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে মসজিদে না আসার হুমকি প্রদান করে। আমি বিষয়টি মসজিদের মুসল্লীদের জানালে মুসল্লীগন মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এসময়  শহিদুল ডিলার আমাকে রাখবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। পরে মসজিদে আইন শৃঙ্খলা অবনতি হতে পারে মর্মে আমি আদিতমারী থানায় একটি সাধারন ডায়রী করি। পরে পুলিশ এসে সভাপতির সাথে আমার ভূল বুঝাবুঝি অবসান করতে আলোচনায় বসে শহিদুল ডিলারকে বুঝিয়েও পাত্তা পায়নি পুলিশ। সেদিন পুলিশ পাহারায় মসজিদে নামজ অনুষ্ঠিত হলেও শহিদুল ডিলার ও তার লোকজন জামায়াতে অংশ গ্রহন করেনি।  আজ শুক্রবার আাবার শহিদুল ডিলার ও তার লোকজন মসজিদে সবার আগে প্রবেশ করে আমাকে নামাজ আদায় করতে দিবে না বলে ঘোষনা প্রদান করে। এতে এলাকাবাসী ক্ষেভে খোলা জায়গায় জামাত আদায় করেছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় মুসল্লী বেলাল হোসেন জানান, শহিদুল ইসলাম ডিলার স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তার কথায় মসজিদ পরিচালিত হয়। এবছরের ওয়াজ মাহফিলে তাকে সভাপতি না করায় তিনি অপমান বোধ করেছেন।এখানে অত্র মসজিদের ঈমাম আব্দুর রহমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে তাকে চাকরীচ্যূত করা হবে বলে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় মুসল্লিদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। আজকে তিনি তার কিছু অনুসারী কয়েক জনকে নিয়ে অন্য ঈমাম দিয়ে নামাজ আদায় করেছেন। অন্য মুসল্লিরা এহেন কর্মকান্ডে খোলা আকাশের নিচে জামায়াত আদায় করে বিশৃংখলা এড়িয়েছেন।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম ডিলারের সাথে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।আদিতমারি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আকবর জানান,গত শুক্রবারে আইন শৃঙ্খলার অবনতি আশঙ্কায় পুলিশ মোতায়ন করা ছিল। আজকের বিষয়টি আমার জানা নাই বলে জানান তিনি।