মহা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় "সিডার " যা সৃতির পাতায় আজ-ও অম্লান।১৫ নভেম্বর ২০০৭ সালে সর্ব শক্তি দিয়ে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় সিডর।

মহা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় "সিডার " যা সৃতির পাতায় আজ-ও  অম্লান।১৫ নভেম্বর ২০০৭ সালে সর্ব শক্তি দিয়ে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় সিডর। বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিলো ঘন্টায় ২৬০ কিলোমিটার। পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি,পিরোজপুর, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন স্থানের নিম্নঅঞ্চলসমূহ ৫ মিটার পানিতে প্লাবিত হয়।এটা স্থানভেদে কাম বেশি হতে পারে।সিডরের আঘাতের ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক ছিলো। ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, গাছপালা, বিদ্যুৎ এর খুটি উড়িয়ে নিয়ে গেছে।লন্ডন ভন্ড করে দিয়ে গেছে অঞ্চলসমূহ। স্থানীয় কর্মকর্তাগন ক্ষয়ক্ষতিকে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের চেয়েও বেশি বলে বর্ণনা করেছেন।সেভ দ্যা চিল্ড্রেন এর তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় সিডারে মানুষ মারা গেছে ৩০০০ থেকে ১০,০০০ পর্যন্ত। রেড ক্রিসেন্টে সোসাইটি ১৮ নভেম্বর ২০০৭ তারিখে রিপোর্ট  করেছে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫০০০ এর বেশি। অন্যান্য সাহায্য সংস্থা এরুপ মন্তব্য করেছেন।এছাড়া  গবাদিপশু, ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায় নি।ঐতিহ্যবাহী স্থান সুন্দর বনের প্রায় এক চতুর্থাংশ ক্ষতি গ্রস্ত হয়।গবেষকরা জানিয়েছেন এ বিপর্যয় থেকে নিজেকে পুনরুদ্ধার করতে ম্যানগ্রোবভ বন সুন্দরবনের অন্তত ৪০ বছর সময় লাগবে।স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শি জানায়,ঘূর্ণিঝড় সিডারের আঘাতের পর থেকে যখনি কোন  সাধারণ ঘূর্ণিঝড় বা বাতাস শুরু হয় তখনই মনে পড়ে যায় সিডরের তান্ডব লীলার কথা।মহানসৃষ্টি কর্তা যেনো সিডরে আঘাতে মৃত্যু বরনকারী সকল শহীদদের পরকালীন শান্তি দান করেন।