ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী চরের মাটি অবৈধভাবে রাতের আঁধারে কেটে নেয়ার সময় স্থানীয়দের ধাওয়ায় মাটি কাটার যন্ত্র ও মাটিবাহী একটি বলগেট ফেলে পালিয়ে যায় এর সাথে জরিতরা।

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী চরের মাটি অবৈধভাবে রাতের আঁধারে কেটে নেয়ার সময় স্থানীয়দের ধাওয়ায় মাটি কাটার যন্ত্র ও মাটিবাহী একটি বলগেট ফেলে পালিয়ে যায় এর সাথে জরিতরা।পরে তারা প্রশাসনকে খবর দিলে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন ও নলছিটি থানা পুলিশ। তবে এর সাথে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি অসাধু চক্র ইউনিয়নের চরতিমিরকাঠি সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর তীর থেকে রাতের আধারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এসব মাটি বিভিন্ন ইট ভাটার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।  যার ফলে এইসব এলাকায় নদী ভাঙ্গন আরও তীব্র হচ্ছে। স্থানীয়রা নদীতে তাদের ফসলি জমি ও নিজেদের ঘরবাড়ি হারাচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে নদীর তীর থেকে মাটি কাটার সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে ধাওয়া দিলে মাটি কাটার যন্ত্র ও বলগেট ফেলে পালিয়ে যায় এর সাথে জড়িতরা। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে প্রশাসন এসে ফেলে যাওয়া মাটি কাটার যন্ত্র ও বলগেট জব্দ করে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.নজরুল ইসলাম জানান, সুগন্ধা নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের মাটি কাটার যন্ত্র ও বলগেট জব্দ করা হয়েছে। নদীর তীর মাটি ও বালি উত্তোলন বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আবদূস ছালাম জানান, মাটি কাটায় ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্যর জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।