সলিসিটর/জিপি-পিপি (পটুয়াখালী) ৬২/২০২৪ (অংশ-১)-১৮৯ নং স্মারকে বিগত ইং ১৩/১১/২০২৪ তারিখের পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন আদালতে আইন কর্মকর্তা নিয়োগের তালিকা

সলিসিটর/জিপি-পিপি (পটুয়াখালী) ৬২/২০২৪ (অংশ-১)-১৮৯ নং স্মারকে বিগত ইং ১৩/১১/২০২৪ তারিখের পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন আদালতে আইন কর্মকর্তা নিয়োগের তালিকায় পতিত স্বৈরাচার খুনি হাসিনা সরকারের দোসরদের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তাদের নাম বাতিলপূর্বক যোগ্য, দক্ষ ও গ্রহনযোগ্য আইনজীবীদের নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ এর মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে পটুয়াখালী জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা-কর্মীরা।বহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ২ টায় জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে জজকোর্ট প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। মিছিল শেষে আইনজীবীরা আইন উপদেষ্টা বরাবরে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন ও বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ কামরুল হাসান এঁর কাছে পৃথক দুটি স্মারকলিপি পেশ করে।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাড. মোঃ মোহসীন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শরীফ মোঃ সালাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন মঞ্জু মৃধা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, ফোরামের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো. মাকসুদুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ এ্যাড. মাসুদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক এ্যাড. তৌফিক আলী খান কবির প্রমুখ আইনজীবী।স্মারকলিপিতে আইনজীবীরা সলিসিটর/জিপি-পিপি (পটুয়াখালী) ৬২/২০২৪ (অংশ-১)-১৮৯ নং স্মারকে বিগত ১৩.১১.২০২৪ তারিখের পটুয়াখালী জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত এর অধীন আদালত, বিশেষ জজ আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আইন কর্মকর্তা উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) কর্তৃক স্বাক্ষরিত বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তন্মধ্যে সরকারী কৌসুলি (জেলা জজ আদালত)-এ নিয়োগকৃত জিপি মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফকে একজন নন প্রাকটিশনার এবং খন্ডকালীন সাবেক বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক তথা স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের পিপি এ্যাড.মোঃ নুরুজজামাল মৃধার চেম্বারে জুনিয়র হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি একজন ফৌজদারী নন প্রাকটিশনার। তিনি বিগত স্বৈরাচার খুনি হাসিনার আমলে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়রের ব্যক্তিগত আইনজীবী ও পৌরসভার প্যানেল আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পতিত স্বৈরাচারের একজন সক্রীয় কর্মী হিসেবে পটুয়াখালী পৌরসভার চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে থেকে সার্বক্ষনিক আওয়ামী লীগের সাথে কাজ করেছেন। তিনি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাথে থেকে বারের নির্বাচনসহ সকল কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন প্রতারক হিসেবে একাধিক এন আই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারার মামলার আসামী ছিলেন এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান। তিনি ১০/১১/২০২৪ তারিখ সেসন মামলা নং-৩৪৬/২০২২, ৩৪৮/২০২২ নং মামলার বাদী মোঃ আবদুস ছালামকে আদালত প্রাঙ্গনে মারধর করিলে মোঃ আবদুল্লাহ ইউসুফের বিরুদ্ধে বিগত ইং ১১.১১.২০২৪ তারিখ একখানা দরখাস্ত দাখিল করেন। যা বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির ভিজিলেন্স কমিটিতে শো-কজ এর জবাব দাখিলের জন্য আছে। তিনি আওয়ামী লীগ এর পরিচয়ে বিগত ফ্যাসিষ্ট খুনি হাসিনা সরকারের আমলে মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে বহু অনৈতিক সুবিধা নিতেন। তার কোনো চেম্বার বা মহরার নেই। তার নিয়োগে ঐতিহ্যবাহী জেলা আইনজীবী সমিতির ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জেলা ও দায়রা জজ আদালত-এ ১নং ক্রমিকে মাকসুদুল হক একজন সক্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি পটুয়াখালী আওয়ামী লীগের বর্তমান কার্য নির্বাহী কমিটির ১৩ নং সদস্য। তিনি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য। সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এর ২৫নং ক্রমিকে মোঃ মামুন খান গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও পূর্বের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন। তিনি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদেরও একজন সক্রিয় সদস্য। সরকারী কৌসুলী হিসেবে ক্রমিক নং-৬ ও ২২ একই ব্যক্তি মোঃ এনামুল হকের নাম দুইবার মুদ্রিত হইয়াছে।এমতাবস্থায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালত বিশেষ জজ আদালত এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য বিজ্ঞ আইনজীবীদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য দাবী জানানো হয় স্মারক লিপিতে।তারা স্মারক লিপিতে ্ সলিসিটর/জিপি-পিপি (পটুয়াখালী) ৬২/২০২৪ (অংশ-১)-১৮৯ নং স্মারকে বিগত ইং ১৩/১১/২০২৪ তারিখের পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন আদালতে আইন কর্মকর্তা নিয়োগের তালিকায় পতিত স্বৈরাচার খুনি হাসিনা সরকারের উল্লেখিত দোসরদের নাম বাতিল করে তদস্থলে জিপি হিসেবে শরীফ মোঃ সালাহউদ্দীন, (পিতা-এ.বি.এম শহীদুল আলম, আইনজীবী সমিতিতে যোগদানের তারিখ-২০/১০/২০০২)। অতিরিক্ত সরকারী কৌসুলি (জেলা জজ আদালত) পদে আনোয়ার পারভেজ (পিতা-মৃত এম. আব্দুল কাদের, যোগদানের তারিখ-৩০/১২/২০১০)। সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (জেলা ও দায়রা জজ আদালত) পদে (মোঃ মাইনুল ইসলাম রুবেল পিতা-তেরাজ উদ্দিন ফরাজী আইনজীবী সমিতিতে যোগদানের তারিখ-২৯/০১/২০১৯)। মোঃ জাহিদুল ইসলাম (পিতা-মোঃ জাফর খান, যোগদানের তারিখ-০৮/০৫/২০১৩)। মোঃ আলাউদ্দিন (২) (পিতা-মৃত আহম্মেদ আলী খান,সদস্য পদ গ্রহণের তারিখ-১০/১১/২০১৪)। মোঃ মেহেদী হাসান (পিতা-আবদুছ ছাত্তার হওলাদার সদস্য পদ গ্রহণের তারিখ-০৯/০৬/২০১৬)। মোঃ বশির উদ্দিন (পিতা-মোঃ কালু মৃধা,সদস্য পদ গ্রহণের তারিখ-২৯/০১/২০১৯)। উল্লেখিত বিষয় (প্রস্তাব) সদয় বিবেচনার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন আইনজীবীগন।জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাড. মো. মোহসীন উদ্দিন জানান, আমাদের দাবী না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এ ব্যাপারে রীট করা হবে বলেও জানান তিনি।