এ ডিসেম্বরে খেলা হবে, আগামী নির্বাচনে খেলা হবে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে, টাকা চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। কিন্তু এ স্লোগান ফখরুলসহ কয়েকজনের পছন্দ না। জনগণের পছন্দের এ স্লোগান আমি দিয়ে যাব, আমি বলে যাব- খেলা হবে। সোমবার দুপুরে নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমকে পুনঃরায় সভাপতি ঘোষণা করেন।
তবে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তা ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি। এ পদটি জেলা আওয়ামী লীগের ডেলিগেটদের প্রত্যক্ষ ভোটেও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য দলীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতীত ইতিহাস উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন,পলাশীর মীরজাফরের প্রেতাত্মা ভর করেছিল খন্দকার মোশতাকের ওপর, আর মীরজাফরের সেনাপতির ন্যায় জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন।একইভাবে জেলখানায় জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ডও ছিল জিয়াউর রহমান।
ইতিহাসের বর্বর হত্যাকাণ্ডের সময় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা যদি বিদেশে না থাকতেন তারাও এ হায়েনাদের হাতে নিহত হতেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, নোয়াখালীর স্বার্থে আমি একরামুল করিম চৌধুরী ও আমার ভাই আবদুল কাদের মির্জাসহ তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি। কোন্দল মুক্ত নোয়াখালী আমি দেখতে চাই। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাও কোন্দল আর কোলাহল দেখতে চান না, পছন্দও করেন না। সম্মেলনের বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ একই মঞ্চে তার বক্তব্যে বলেন, বাস-ট্রেনে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করবেন, আর মামলা হলে গ্রেফতার করলে এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা বলবেন- বিএনপির নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার নামে নাইকো দুর্নীতি মামলাসহ আরও মামলা রয়েছে, এসব মামলার রায় হলে হয়তো বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তাদের নেতাদের বাকি জীবন কারাগারেই থাকতে হবে। সমাবেশে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। দল পরিচালনা করতে গিয়ে পরিবারকেও সময় দেওয়া যায় না। কত কুতুব যে এখন আওয়ামী লীগে আছে, ওদের ঠাণ্ডা করে দল চালানো খুবই কষ্টকর। আমি দায়িত্ব পেয়ে এখানে ৫০ জন লোকও পাইনি।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, নোয়াখালীর সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম, এইচএম ইব্রাহিম, মামুনুর রশীদ কিরণ, আয়েশা ফেরদাউস, সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা খানম সাকি প্রমুখ।