কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাড়া ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর দুই গ্রামের মানুষের যোগাযোগ রক্ষায় সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসীর সহায়তায় পুনঃ নির্মাণ কাজ চলছে। দ্রুত নির্মাণের দাবি দুই গ্রামের মানুষের।

কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাড়া ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের রসুলপুর দুই গ্রামের মানুষের যোগাযোগ রক্ষায় সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসীর সহায়তায় পুনঃ নির্মাণ কাজ চলছে। দ্রুত নির্মাণের দাবি দুই গ্রামের মানুষের। দুই ইউনিয়নের দুই গ্রামের মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় দীর্ঘ আড়াই যুগ ধরে একটি সাঁকো ছিল। পারাপার হতো শতশত মানুষ। ইঞ্জিনচালিত নৌকা ট্রলার ওই সাঁকো অতিক্রমকালে ভেঙ্গে যায় সাকোটি। দুর্ভোগে পড়ে দুই গ্রামের মানুষ। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন খান দুলাল জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সাকোটি পুনঃ: মেরামতের জন্য এলাকাবাসীর সহায়তায় চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অর্থায়নে এ সাকোটি নির্মাণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে এমন কথা নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন দুলাল। তবে জ্বরাজীর্ন পুরানো সাকোটির লোহা লক্কর রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে যায়। ০৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য নুরুন্নবী লিটন মাতুব্বর বলেন, দুই ইউনিয়নের সাথে এ খালের ওপর সাকোটি ৩০ বছর আগের নির্মিত। জ্বরাজীর্ন সাকোটি ভেঙে ফেলে ট্রলার। ক্ষতিপূরণ বাবদ ৬ হাজার টাকা আদায় করেছিল এলাকাবাসী। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনে এ সাকোর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে স্কিম দিয়েছেন চেয়ারম্যান। এ খালে সাকোটি নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাড়া স্লুইস গেইট জামে মসজিদ পেশ ইমাম শামসুল আলম বলেন, এ সাকোটি জরুরি ভাবে নির্মাণ করা দরকার বৃহত্তর জনস্বার্থ বিবেচনায়। একই এলাকার হাজী ইউসুফ মুন্সি বলেন, দুই ইউনিয়নের দুই গ্রাম রসুলপুর ও চরপাড়ার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে এ সাকোটি নির্মাণ হলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো। মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষার সেতুবন্ধন মজবুত হতো।এলাকাবাসী এ সাঁকো নির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাসেল গাজি, বেল্লাল গাজি ,রুহুল আমিন গাজি বলেন, এ সাকোটি ট্রলার ভেঙ্গে দিলে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন দুলাল নিজ্বস্ব অর্থায়নে এলাকাবাসীর সহায়তায় ভেঙ্গে যাওয়া সাকোটি নির্মাণের চেষ্টা চলছে। জ্বরাজীর্ন পুরানো সাকোটির লোহা লক্কর কে বা কারা রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে যায়। কৃষক চাষি আমজনতার সুবিধার্থে এ সাকোটি নির্মাণ হলে জনদুর্ভোগ কমবে। এ ব্যাপারে মেজবা উদ্দিন খান দুলাল বলেন, সাঁকোটি ছিল অনেক আগের, প্রায় ২০/৩৯ বছরের আগে স্লুইসের পাশ দিয়ে, মাস তিন আগে সাঁকোটি একটি ট্রলার এসে ভেঙ্গে দিয়েছে, ভেঙ্গে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন আমার কাছে এসেছিল, আমি জনস্বার্থে নিজের অর্থায়নে সাঁকোটি নির্মাণের চেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন, সাঁকোটি কিছু জ্বরাজীর্ন পুরানো সাকোটির লোহা লক্কর কে বা কারা রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে গেছে জানতে পেরেছি, এ ব্যাপারে আমি তদন্ত করছি যাতে মালগুলো উদ্ধার করা হয়।