শষ্য ভান্ডার হিসা‌বে বেশ প‌রি‌চিত উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে কালীগঞ্জ উপজেলায় শুরু হ‌য়ে‌ছে

শষ্য ভান্ডার হিসা‌বে বেশ প‌রি‌চিত উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে কালীগঞ্জ উপজেলায় শুরু হ‌য়ে‌ছে আগাম জা‌তের রোপা আমন ধানা কাটা মাড়াই। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হচ্ছে, তাই উপজেলার প্রতিটা কৃষক রোপা ও আমন ধানের ফলনে বেশ খুশি। তারা ইতিমধ্যই ধান কাটা মাড়াই করে ঘরে তুলতে শুরু করেছে। রোপা আমন ফসলের মাঠে এখন পাকা ধানের সোনালি হাসি। উজ্জ্বল রোদে সেই হাসি আরও ঝলমল করে উঠছে।
কালীগঞ্জ  উপজেলার অনেক মাঠেই কাস্তে নিয়ে ধান কাটার উৎসবে নেমে পড়েছেন কৃষকরা। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূল থাকায় এবারো ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।ধানের ভালো ফলন ও বাজার মূল্য ভালো থাকায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে সোনালী হাসি। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলা কালীগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু ইউনিয়নে রোপা আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে।তবে কৃষি বিভাগ বলছে, পুরোদমে ধানকাটা মাড়াই শুরু করতে আরও দিন দশেক লাগবে।কালীগঞ্জ  উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা মেলে জমির ধান পেকে সোনালি রঙে শোভা ছড়িয়েছে। পাকা ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক-শ্রমিক। শ্রমিকের পাশাপাশি ধান কাটায় ব্যবহার করা হয় আধুনিক যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কালীগঞ্জ উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে ১৭হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। উপজেলার বেশির ভাগ চাষি বিনা-১৭, ব্রি-ধান ৭১ ব্রি-ধান ৭২, ব্রি-ধান ৭৫জাতের ধান চাষ করেছেন। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বিনা-১৭ প্রতি মন ১২থেকে ১৩শ টাকা, ব্রি-ধান ৭১ প্রতি মন ১৩ থেকে ১৪শ টাকা, ব্রি-ধান ৭২ প্রতি মন ১৩ থেকে ১৪শ টাকা, ব্রি-ধান ৭৫ প্রতি মন ১৪ থেকে ১৫শ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।সোনারহাটের গ্রামের কৃষক সোহাগ রানা  বলেন, আমাদের এলাকায় ধানের ফলন ১৬-১৭ মণ হচ্ছে। খরচ বাদ দিয়ে বিঘায় ৭-৮ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। উপজেলার দুহুলী  গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, আগাম জাতের ধান কেটে ঘরে তুলেছি দাম ও ফলন দুটোই ভালো পেয়েছি এতে বেশ কিছু টাকা লাভ হয়েছে। আগাম ধান কাটতে পেরে এখন রবি-শস্য আবাদ করতে পারবো।উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন,আমার সোনারহাট ব্লকে আমি কৃষকদেরকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়েছি তাই এবার আগাম আমন ধান বেশ ভালো হয়েছে আমাদের কৃষি অফিস থেকে কৃষকের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি  বলেন, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। ধানের ফলন ও দাম বেশ ভালো। এবারো কালীগঞ্জ  উপজেলার কৃষকরা লাভবান হবে।