মহড়া শেষে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ আলী পারিবারিক বিরোধের জেরে নিজের মা, ছোট ভাই ও মামাকেও কুপিয়ে আহত করেন।এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় গাছা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক মোটরসাইকেলের একটি বহর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা অঞ্চলের ৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে উচ্চশব্দে হর্ণ বাজিয়ে মহড়া দেয় এবং বিভিন্ন কারখানার গেটে গিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে।

মোটরসাইকেলের মহড়া দিয়ে ও গুলি ফুটিয়ে এলাকায় আধিপত্য জানান দিলেন বিএনপি নেতারা। গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ৭টি ওয়ার্ডে গত বৃহস্পতিবার রাতে এ মহাড়া চলাকালে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

মহড়া শেষে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ আলী পারিবারিক বিরোধের জেরে নিজের মা, ছোট ভাই ও মামাকেও কুপিয়ে আহত করেন।এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় গাছা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের নেতৃত্বে শতাধিক মোটরসাইকেলের একটি বহর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা অঞ্চলের ৭টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে উচ্চশব্দে হর্ণ বাজিয়ে মহড়া দেয় এবং বিভিন্ন কারখানার গেটে গিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে।

তাদের এ মহড়া চলাকালে এলাকায় আতঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে দোকানপাট, বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শার্টার, গেট বন্ধ করে দেয়।গাছা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন একটি প্রাইভেটকারে  মহড়ার সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। এসময় গাছা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি খুরশেদ আলম খান মহড়ার বিষয়ে আপত্তি করায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ আলী। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

মোহাম্মদ আলী এসময় আরো বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ফুটিয়ে এলাকায় নিজের আধিপত্য জাহির করেন। এমনকি এসময় পারিবারিক বিরোধের জেরে মুহাম্মদ আলী নিজের মা রূপবান বেগম (৬৫), ছোট ভাই জামাল (৩৫) ও মামা আবুল হোসেনকেও কুপিয়ে (৩৫) আহত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে কালা চাঁন (৫৫) নামের একজন রিকশাচালককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন মুহাম্মদ আলীর ছেলেরা। ঐ রিকশাচালককে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গাছা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামালের বিরুদ্ধে আরো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। তিনি এলাকার ত্রাস। বাটা সু কোম্পানির কর্মকর্তা হানিফ হত্যামামলার তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামী।এব্যাপারে একাধিকবার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলে গাছা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ আলীকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। গাছা থানা বিএনপির সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমিও ঘটনাটি শুনেছি। তারা মিল ফ্যাক্টরি দখলের জন্য (ঝুটের ব্যবসা) এ কাজ করেছেন। কিন্তু কোন সুযোগ নেই। এব্যাপারে দলের হাইকমান্ডের কড়া নির্দেশনা রয়েছে।