ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলায় শ্যামগঞ্জ বাজারে বুধবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গতকাল বুধবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের টানা দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৮০ থেকে ৯০টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলছে। তবে কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৮০ থেকে ৯০টি দোকান পুড়ে গেছে।
এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলছে। তবে কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিকে, ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন, পূর্বধলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান প্রিন্স, গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান, গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসো গৌরীপুর গড়ির সদস্যরা। অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আগুনের ভয়াবহতা দেখতে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজির চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। বুধবার (২২ মার্চ) রাত সোয়া ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের গৌরীপুর উপজেলার সিধলা চরপাড়া মাদরাসা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- স্থানীয় বেলতলী দক্ষিণপাড়া এলাকার রশিদের ছেলে সিএনজি চালক হুমায়ুন (২০) ও বেলতলী মধ্যপাড়া গ্রামের আ. সাত্তারের ছেলে রুবেল মিয়া (৩২)। আহতরা হলেন- সাইদুল (৩০), কালাচাঁন (৩২), শামছু (৫০)। তারা সবাই সিধলা ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, শ্যামগঞ্জ মধ্যবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সিএনজি চালক হুমায়ুন, রুবেল, সাইদুল, কালাচাঁন, শামছুসহ পাঁচজন সিএনজি যোগে শ্যামগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালু বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে চালক হুমায়ুন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মাহমুদুল ইসলাম বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেল মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক পালিয়ে গেলেও ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।