জামালপুরের বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের পদ ও সদস্য পদ স্থগিত করেছে উপজেলা বিএনপি। চাঁদাবাজির অভিযোগে ১৯ নভেম্বর রাতে উপজেলা বিএনপির প্যাডে লিখিত নোটিশে সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি অবগত করে।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলা সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চা-বিক্রেতা সেলিম মিয়ার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় সেলিম মিয়াকে নাশকতা মামলার অজ্ঞাত আসামী হিসেবে গ্রেফতার করায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। এ বিষয়ে সেলিমের স্ত্রী খোদেজা বেগম ১৩ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন। ঘটনা জানাজানি হলে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আবুল কাশেমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। নোটিশের জবাব দেন আবুল কাশেম। কিন্তু জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় ১৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আবুল কাশেমকে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ ও বিএনপির সদস্য পদ স্থগিত করে নোটিশ দেন। পৃথক নোটিশে একই ইউনিয়নের শাহীন খানকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্যাডে লেখা উভয় নোটিশে স্বাক্ষর করে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মানিক সওদাগর।এব্যাপারে আবুল কাশেম জানান, একটি মিথ্যা ঘটনায় আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়ে ছিলো। উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পরেও আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। বিলম্বে হলেও সত্য প্রকাশ পাবে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মানিক সওদাগর জানান, ক্লিন ইমেজের রাজনীতি বিশ^াস করে বিএনপি। তাই দলের ভাবমুর্তি কারও দ্বারা ক্ষুন্ন হলে তাকে দলে রাখা উচিত না। এ কারণে দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই আবুল কাশেমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।