ছাগলনাইয়ার শুভপুর ইউনিয়নের জয়চাঁদপুর কুয়েত পল্লীর বাসিন্দা তরিকের নেছা (৬৪) নামক একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী একজন

ছাগলনাইয়ার শুভপুর ইউনিয়নের জয়চাঁদপুর কুয়েত পল্লীর বাসিন্দা তরিকের নেছা (৬৪) নামক একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী একজন বয়োবৃদ্ধ নারীকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করার প্রতিবাদে পরিবার ও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে  সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।আজ রবিবার ১০ নভেম্বর কুয়েত পল্লীতে সংবাদ সম্মেলনে তরিকের নেছার পুত্র বধূ রাহেলা আক্তার চম্পা বলেন, সম্প্রতি স্থানীয় বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন বাদি হয়ে ছাগলনাইয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় ষড়যন্ত্রমুলক আমার স্বামী মোঃ সোহাগকে আসামি করা হয়। শুক্রবার সন্ধায় ছাগলনাইয়া থানার পুলিশ আমার স্বামীকে খুঁজতে কুয়েত পল্লীতে আসে। এসময় সোহাগকে না পেয়ে আমাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে আমি পালিয়ে যাই। চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা রাহেলা আক্তার চম্পা বলেন, পুলিশ আমার স্বামী ও আমাকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়ে আমার প্রতিবন্ধী শাশুড়ীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।সংবাদ সম্মেলনে কুয়েত পল্লীর বাসিন্দা বিবি জোহরা, রেজিয়া বেগম, নুর জাহান ও আফিয়া বেগম বলেন, প্রতিবন্ধী তরিকের নেছা গ্রামে ভিক্ষা করে নিজের খরচ জোগাড় করে। তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে কষ্ট দেয়ায় আমরা কুয়েত পল্লীর বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে ছাগলনাইয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মুক্তার হোসেন ভূঁঞা জানান, শুভপুর ইউনিয়ন এলাকার কামাল এন্ড সন্স অটো ব্রিকস ম্যানুফেকচারিং নামক প্রতিষ্ঠানে সম্প্রতি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী কামাল উদ্দিন বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে৷ ঐ ঘটনায় চুরি হওয়া দুইটি কাঠের ওয়ারড্রব তরিকের নেছার বসতঘর থেকে আমরা জব্দ করি এবং তাকে গ্রেফতার করে আদালত সোপর্দ করা হয়েছে। তরিকের নেছা শারীরিক প্রতিবন্ধী বিষয়টি কেউ পুলিশকে অবগত করেনি বলেও জানান এসআই মুক্তার হোসেন ভূঁঞা।