যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই)-এর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। এশিয়ার ৩১টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রকাশিত এ র‍্যাংকিংয়ে দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এ তালিকায় যৌথভাবে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ (টিএইচই)-এর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০২৪ প্রকাশিত হয়েছে। এশিয়ার ৩১টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রকাশিত এ র‍্যাংকিংয়ে দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এ তালিকায় যৌথভাবে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শিক্ষার মান, শিক্ষার্থী-শিক্ষকের অনুপাত, গবেষণার মান, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ কয়েকটি সূচকের ওপর ভিত্তি করে এবারের র‍্যাংকিং করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এবারের তালিকায় এশিয়ার প্রথম স্থানে অবস্থান করছে চীনের সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থানে একই দেশের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থানে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা দশের মধ্যে চীনের ৫টি, হংকং ও সিঙ্গাপুরের ২টি করে এবং জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তবে তালিকায় প্রথম ১ থেকে ৩০০এর মধ্যে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকলেও ৩০১ থেকে ৬০০ এর মধ্যে দেশের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।

প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, ৩০১ থেকে ৩৫০ এর মধ্যে যৌথভাবে রয়েছে বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকার ৩৫১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকার ৪০১-৫০০ -এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আর ৫০১-৬০০ -এর মধ্যে অবস্থান করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। তাছাড়া তালিকায় আরও ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হলেও তাদের র‌্যাংকিং প্রকাশ করা হয়নি। 

আন্তর্জাতিক র‍্যাংকিয়ে দেশসেরা হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং স্কলার ও পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, 'আন্তর্জাতিক র‍্যাকিংয়ে দেশসেরা হওয়া আমাদের জন্য বড় পাওয়া। তবে এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো সুযোগ নেই। বরং আগামীতে র‍্যাংকিংয়ে কীভাবে আরও এগিয়ে আসা যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ লক্ষ্যে বিদেশী শিক্ষার্থীদের বেশি সংখ্যায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি বিদেশী শিক্ষকদেরও সীমিত পরিসরে নিয়োগের ব্যাপারে ভাবতে হবে। মানসম্মত গবেষণা নিশ্চিতের জন্য গবেষণায় বরাদ্দ বাড়াতে হবে। সর্বোপরি, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশসেরা হওয়ার এই অর্জনে কর্তৃপক্ষ আনন্দিত। এই অনন্য নজির স্থাপনে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগীতা করার জন্য শিক্ষক-গবেষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে। এ লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই।'