লোকসানের ভারে রংপুর বিভাগে মাত্র একটি সুগারমিল চালু রেখে সবগুলো বন্ধ করে দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর থেকে চালু থাকা ঠাকুরগাঁও সুগার মিলটিতে দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও চাষিদের উৎপাদিত আখ সরবরাহের মাধ্যমে উৎপাদন করা হয় চিনি।
তবে জরাজীর্ণ পুরাতন সুগার মিলটি বার বার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আখের যোগানের অভাবে নির্ধারিত সময়ের আগে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উৎপাদনে মুখ থুবড়ে পরে মিলটি। এ অবস্থায় মিল কর্তৃপক্ষ মিল জোন এলাকার তালিকাভুক্ত চাষিদের পাশাপাশি অন্যান্য কৃষকদেরও আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন।
জেলার চাষিরা আখ আবাদ করলেও উৎপাদনের পর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার পাশাপাশি সময়মতো আখের মূল্য না পাওয়ায় অনেক চাষি সুগার মিলে আখ সরবরাহ না করে অবৈধ গুড় উৎপাদনকারীর কাছে বিক্রি করছেন আখ। এতে মিলে দিন দিন আখ যোগানে সংকট বাড়ছে।
কৃষকরা বলছেন, সার, কীটনাশক ও মজুরি বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে আখ উৎপাদনের খরচ। ফলে আখের দাম বৃদ্ধিসহ সময়মতো আখের মূল্য পরিশোধে উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হবে আখ চাষে।
কৃষকের দাবিকে যৌক্তিক সঙ্গে একমত পোষণ করে বিষয়টি উর্ধতনদের নজরে আনা হয়েছে বলে জানান সুগারমিলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আবু রায়হান। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দাম বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।
২০২৫-২৬ মাড়াই মৌসুম উপলক্ষে মিল জোন এলাকায় ৬ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। আর মিলটিতে আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ মেট্রিক টন।