খুলনার ডুমুরিয়ায় চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিরা। উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ খুনিদের ফাঁসির দাবি।খুলনার ডুমুরিয়ায় ৮নং শরাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি হত্যার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের সকল ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, ইউপি সচিব ও গ্রাম পুলিশ।
গতকাল বুধবার(১০ জুলাই) সকাল ১১ টায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিনা পারভীন রুমা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু,রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান তৌহিদ,মাগুরাঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হেলাল,আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনসহ ইউপি সদস্যগণ,খুলনা জেলা ইউপি সচিবের সভাপতি সিদ্ধার্ত ব্যানার্জি,গ্রাম পুলিশের প্রতিনিধি, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর আলম
সহমত পোষণ করে মানববন্ধনে শরীক হন। এসময় ডুমুরিয়া উপজেলার রাজনৈতিক, সামাজিক সাধারণ জনগণ মানববন্ধনে শরীক হয়ে খুনিদের শাস্তির দাবি জানান।এসময় বক্তারা চেয়ারম্যান রবি হত্যার আসামিদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান।এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে ও ডুমুরিয়া যেনো কোনোভাবে অশান্ত না হয় সে ব্যপারে সজাগ থাকার আহবান জানান। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। কর্মসূচির মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে শোক সভার আয়োজন ও উপজেলা পরিষদসহ সকল ইউনিয়নে ২ ঘন্টা করে কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে গত শনিবার রাত পৌঁনে ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামকস্থানে দুর্বৃত্তদের গুলিতে শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ রবিউল ইসলাম রবি (৪৬) নিহত হন। ওই দিন তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ণচন্দ্র চন্দের সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের শহিদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে মোটরসাইকেলে খুলনার বাসার উদ্দেশে রওনা দেন।
রাত পৌঁনে ১০টার দিকে তিনি খুলনা—সাতক্ষীরা সড়কের গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামকস্থানে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে পেছন দিক থেকে বেশ কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার পিঠে ৫টি গুলি বিদ্ধ হয়ে রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দ শুনে পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সোয়া ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।