সাতক্ষীরার তালায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে তালা উপজেলা প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার(২৯ফেব্রুয়ারি)বেলা ১২টায় বসুন্ধরা শুভসংঘ তালা উপজেলা শাখার উদ্যোগে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শুকদেবপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিবন্ধী স্কুলে শিক্ষা উপকরণ বিতারণ করা হয়।

সাতক্ষীরার তালায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে তালা উপজেলা প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার(২৯ফেব্রুয়ারি)বেলা ১২টায় বসুন্ধরা শুভসংঘ তালা উপজেলা শাখার উদ্যোগে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের শুকদেবপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিবন্ধী স্কুলে শিক্ষা উপকরণ বিতারণ করা হয়।

তালা উপজেলা শুভসংঘের সহ সভাপতি মোড়ল শাহীনউদ্দিনের সভাপিতত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ তুলেদেন বসুন্ধরা শুভসংঘে তালা উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্টা সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন,স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন সোনা,কালের কণ্ঠের তালা উপজেলা প্রতিনিধি এম এম রোকনুজ্জামান টিপু,শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক চিন্ময় দাশ,সদস্য জেসমিন অক্তার প্রমূখ।শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়,সম্পদ। তাদেরকে ভিন্ন দৃষ্টিতে না দেখে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে।সমাজের আর সব শিশুর মত সকল সুয়োগ সুবিধা পেলে তারাও দেশের সম্পাদে পরিনত হবে।অসুন আমরা সবাই প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি সহানুভূতিশীল হই। তাহলে প্রতিবন্ধী শিশুর অভিভাবকদের কষ্টও অনেকাংশে লাঘব হবে।বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করায় সকল ক্ষেত্রে তাদের সম্মান বেড়েছে।

শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী মূর্শিদ কামাল খাতা কলম পেয়ে আনন্দে কেঁদে কেঁদে বলেন, আমি লেখাপড়া শিখতে চাই, লেখাপড়া করার জন্য কেউ একটা খাতা কলম কিনে দেয় না। আজ খাতা ও কলম পেয়েছি এবার লেখা পড়া করতে পারবো।যারা আমারে খাতা কলম দিলো তাদের আল্লাহ ভাল রাখুক।তালা উপজেলা প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষক চন্দনা দাশ বলেন,এই প্রথম কেউ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ দিলো। স্কুলে সকল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা খাতা কলম অত্যন্ত খুশি। শুভসংঘের মতো যদি নানা পেশার মানুষ ও সংগঠন এভাবে এগিয়ে আশতো, তাহলে প্রতিবন্ধীরা কখনোই সমাজের বোঝা হতো না।

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ ও শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।শিক্ষা উপকরণ পেয়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকরা মহাখুশি। বসুন্ধরা গ্রুপ যেন এভাবেই সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারে সে জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া চান তারা।