প্রত্যক্ষদর্শী নিজাম বলেন, ‘আসামি দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে এমনটা দেখে আমিও পেছনে পেছনে দৌড়াই। সাঁতরে খাল পার হয়েও তাকে ধরতে পারিনি।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে খুলনাগামী বিআরটিসি বাস থেকে পালিয়ে যান তিনি। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে বরগুনা জেলা কারাগার হতে মাদক দ্রব্য মামলার আসামি মোঃ জনি-(১৪) ও মোঃ মাহমুদ হাসান-(১৩) কে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে এসআই মাহবুব আলম (নিরস্ত্র) ও কনস্টেবল আবু নাঈম এবং কনস্টেবল প্রণব কর্তৃক বিআরটিসি বাসযোগে বরগুনা হতে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে সকাল ৮:৩০ ঘটিকায় বামনা উপজেলাধীন তুলাতলা নামক বাস স্ট্যান্ড হতে যাত্রী উঠা-নামার সময়ে কিশোর আসামী মোঃ মাহমুদ (পিতা স্বপন জোমাদ্দার) বাসের জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়, এসময় পুলিশ সদস্য প্রণব লাফিয়ে পরে তাকে ধরার চেষ্টা করেও তাকে ধরতে পারেননি। আসামীদ্বয় কিশোর হওয়ায় তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল না বিধায় পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী নিজাম বলেন, ‘আসামি দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে এমনটা দেখে আমিও পেছনে পেছনে দৌড়াই। সাঁতরে খাল পার হয়েও তাকে ধরতে পারিনি।' বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘আসামি পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ওই এলাকায় থানার একদল পুলিশ পাঠিয়েছি। আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ এর আগে শনিবার (৯ জুলাই) বরগুনার বামনা উপজেলার নিজামতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহামুদ ও জনিসহ গ্রেফতার করা হয় একই এলাকার আবুল কালাম জোমাদ্দারে ছেলে মো. নাজমুল ইসলামকে (৩২)। এসময় তাদের থেকে ১৯ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। তাদের মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দিয়ে বরগুনা কোর্টে পাঠানো হয়েছিল।