পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলের আমন ধানের ক্ষেতগুলো সতেজ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কৃষকদের মাঝে দেখা মিলেছে স্বস্তি।

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলের আমন ধানের ক্ষেতগুলো সতেজ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কৃষকদের মাঝে দেখা মিলেছে স্বস্তি। ৩ বার বন্যার কবলে পড়ে আমন ধানের ক্ষেতগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও কৃষকরা আমন বীজ সংগ্রহ করে ধানের চারা রোপন করতে সক্ষম হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ স্বস্তির বৃষ্টিতে আমন ধানের ক্ষেতগুলো সবুজে ভরে উঠেছে। উপজলার ৭টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে সোনালী আমন ধানের ঝিলিক দেখা দিয়েছে।উপজলা কষিৃ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বেশির ভাগ মানুষের আয়ের উৎস কৃষি। চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার হেক্টর, অর্জিত হয়েছে ১৮ হাজার ৫শত হেক্টর। আমন ধানের ক্ষেতগুলোতে এই মুহুর্তে বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন ছিলো। গত কয়েকদিন যাবৎ থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে আমন ধানর ভালো উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে।উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাসপাড়া এলাকার আমন চাষী শংকর চদ্র শীল ও মজিবুর রহমান বলেন, এই বৃষ্টি আমাদের খুশি এনে দিয়েছে। এখন ধানের চারা তাড়াতাড়ি বড় হবে। আমন ধানের গাছ হতে অতি দ্রুত ধানের শীষ বের হবে। অন্য আরেক চাষী উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের বগুড়া গ্রামের ইউনুছ বলেন, এই বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে প্রবল বর্ষণ এবং কয়েক দফা বন্যার কারনে আমন চাষ ব্যাহত হলেও কৃষকরা ধকল কাটিয়ে যথাসময়ে চাষাবাদ করতে পেরেছে। বৃষ্টি হওয়ায় গাছ ও ফসলের জন্য ভালো হয়েছে।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাফর আহমেদ বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে কম বেশি বৃষ্টি হলেও জলাবদ্ধতার কারনে কৃষকরা একটু চিন্তিত হয়ে পড়েন। বৃষ্টির ফলে আমন ধানের ক্ষেতগুলোর অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। আশা করছি এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে।