কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শীর্ষমাদক ব্যবসায়ী আবুবক্কর সিদ্দিক এখন ধরা ছোঁয়ার বাইরে ।তার নামে একাধিক মামলা থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে করে যাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। সিদ্দিক উপজেলার ৭নং হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের জয়রামপুর গোরস্থান পাড়ার মতির ছেলে, সে দীর্ঘদিন যাবত মরণ নেশা ইয়বা, ফেন্সিডিল, গাঁজা, টেপেন্ডা হিরোইন বিক্রি করে আসছে বলে অভিযোগ আছে। বিভিন্ন তথ্য মতে জানা যায় এর আগে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানাধীন লালন সেতুর পশ্চিম পাশে এস বি সুপার ডিলাক্স গাড়ি চেক করে ৬৭০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার সহ সিদ্দিক কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অভিযানিক দল।
সেই অভিযানে সিদ্দিক গ্রেফতার হলেও বেশী দিন তাকে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। আইনের বিভিন্ন ফাঁক-ফোকর দিয়ে জেল হাজত থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় সেই একই ব্যবসা করে চলেছে সিদ্দিক। সিদ্দিকের মাদকের ভয়াবহ ছোবলে ধংস হচ্ছে যুবসমাজ,মাদকের নেশায় লন্ডভন্ড হচ্ছে নিন্মবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়ে। সিদ্দিকের মাদকের ছোবলে অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে রয়েছে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠায়।বর্তমানে উপজেলা থেকে জেলা পর্যায় পুলিশ প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে সিদ্দিক রমরমা মাদক ব্যবসা।
সিদ্দিক, এছাড়াও কল্যাণপুর, জয়রামপুর, বিডিসি বাজার, সাদিপুর চামনাই, আল্লারদর্গা, ভেড়ামারায় পাইকারি মাদক বিক্রি করে আসছেন। সিদ্দিক এতটাই ভয়ংকর যে এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা। সিদ্দিকের অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকেও মাদক দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিবে বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি প্রতিবেদককে বলেন সিদ্দিকের মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সহস পায়না সিদ্দিকের নিজেস্ব ক্যাডার বাহীনির ভয়ে, এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহীনিকে ম্যানেজ করে চলে নাকি তার মাদকের ব্যবসা।
এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মহলের লোকজন বলেন, সিদ্দিক মাদকের সাথে ওতোপ্রোত ভাবে এখনও জড়িত আছে , কয়েক মাস আগে সিদ্দিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া হাতে নিজ দোকান থেকে ফেনসিডিল সহ আটক হয়। উক্ত অভিযানের নেতৃত্ব দানকারী অফিসার ছিলেন ইন্সপেক্টর মাহবুবা জেসমিন রুমা,সাব ইন্সপেক্টর সানোয়ার হোসেন,সিপাই ইমরান হোসেন,নুরনবী, আব্বাস,রাশিদুল ও মামুন রহমান। ইন্সপেক্টর মাহবুবা জেসমিন রুমা বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন মামলা নং - ৯ তারিখ -২২/০১/২০২৩ইং
তার পরে একই নিয়মে জামিনে বেরিয়ে আসে সিদ্দিক, এতোকিছু পরেও থেমে নেই সিদ্দিকের মাদক ব্যবসা। এলাকাবাসীর জোর দাবি তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার দরকার তা নাহলে এলাকার যুবসমাজ রসাতলে চলে যাবে এছাড়াও এলাকায় চুরি ছিনতাই বেড়েই চলেছে,যত দ্রুত সম্ভব আমরা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছি।