গতকাল বুধবার সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় এঘটনা ঘটে বলে জানান এলাকাবাসী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঐ কর্মচারী শফিউল ইসলাম তাদের অবৈধ দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানালে হানিফ, স্বজল সহ তাদের ক্যাডার বাহিনীরা মিলে বেধড়ক পেটিয়ে মারাত্মক আহত করা সহ ওই কর্মচারীর একটি পা ভেংগে দেয়।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ফিলিপনগর ইউনিয়নের পূর্ব বাহিরমাদী গ্রামে, বাহিরমাদী মোড় থেকে সিরাজ পর্যন্ত সরকারের উন্নয়নের অংশবিশেষ পিচ ঢালাইয়ের একটি রাস্তার কাজ চলমান অবস্থায় অবৈধভাবে নিজের বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা করে দেওয়ার জন্য দাবি করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শফিউল ইসলাম এর কাছ থেকে ঐ এলাকার নামকরা মাদক ব্যবসায়ী হানিফ ও তার ছেলে স্বজল। গতকাল বুধবার সকাল আনুমানিক ১১ টার সময় এঘটনা ঘটে বলে জানান এলাকাবাসী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ঐ কর্মচারী শফিউল ইসলাম তাদের অবৈধ দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানালে হানিফ, স্বজল সহ তাদের ক্যাডার বাহিনীরা মিলে বেধড়ক পেটিয়ে মারাত্মক আহত করা সহ ওই কর্মচারীর একটি পা ভেংগে দেয়।

খবর শুনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঐ কর্মচারীকে উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে। পরে দৌলতপুর থানায় উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী কর্মচারী শফিউল ইসলাম বাদী হয়ে হানিফ ও স্বজলের নাম উল্লেখ সহ আরো ৫/৬ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পরেই ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয় এস এই চিরণঞ্জীত। উক্ত ঘটনায় হানিফ ও স্বজল ক্ষিপ্ত হয় অফিসারের উপর। পরে কোন দিশে না পেয়ে এস আই চিরণঞ্জীত হানিফ ও স্বজলকে আটক করার লক্ষে হাতে হ্যান্ডকাপ পরাতে গেলে ধস্তাধস্তি করে হানিফ ও স্বজল তাদের নিজ বাড়ির পিছন দিয়ে পালিয়ে যায়।

এমন ঘটনার পরবর্তীতে ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করে বাড়ির পাশের মাঠ থেকে হ্যান্ডকাপ টি পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান, এজাহার নামিও আসামী হানিফ ও স্বজল পুলিশের হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালানো পরে তাদের বাড়ির পিছনের মাঠে হ্যান্ডকাপ টি ফেলে চলে যায়। পরে মাঠের ভিতরে পড়ে থাকা অবস্থায় হ্যান্ডকাপটি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো বলেন,হানিফ স্বজল সহ তাদের সহযোগিদের ধরতে অভিযান এখনো চলমান আছে।