তবে আমি তার এই মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজের জন্য পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি যার নং ২৭০ উক্ত জিডি'র শুনানিও হয়েছে আশাকরি তদন্তে বিষয়টি সমাজে পরিস্কার হয়ে উঠবে।

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের পশ্চিম জালিয়াঘাটা এলাকার কথিত সাংবাদিক ও মামলাবাজ শামীমের আহমেদ এর দূর্নীতি ও হয়রানির প্রতিবাদে তার নিজ বাড়ির সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন এলাকাবাসী। সোমবার (১ মে) সকাল ১০ টার দিকে প্রায় ৫ শত নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শামীম আহমেদ কাকচিড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিম জালিয়াঘাটা আঃ খালেক (হুজুরের) ছেলে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সেন্টু, তিনি বলেন এলাকায় শামীমের নামে বিভিন্ন লোকের অভিযোগ রয়েছে, কারো সাথে কিছু হলেই তাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে, এমনকি আমি নিজেও তার করা দুটি মিথ্যা মামলার হয়রানির শিকার, শামীম বিগতে দিনে এলাকার প্রায় ৮-১০ জনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে ।

এমনকি একজন লোকের নামে ৭ টি মামলাও রয়েছে, তবে তার করা কোন মামলাই সত্য প্রমাণিত হয়নি, সে বর্তমানেও এই এলাকার জহির আলীম (তাপস) নামে একজনকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, তাপস আমাদের এলাকার একজন সহজ সরল ছেলে,  এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাপস বলেন, আমি শুধুমাত্র শামীমের একটি অন্যায় কাজে বাঁধা দিয়েছি বলে আমাকে নিয়ে গত ৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে "দৈনিক সকালের সময়" জাতীয় পত্রিকা ও "সমাজ দর্পণ" পত্রিকায় ষড়যন্ত্র মূলক ভিত্তিহীন নিউজ করেছে, এবং আমাকে একটি মিথ্যা মামলাও দিয়েছে। তবে আমি তার এই মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজের জন্য পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি যার নং ২৭০ উক্ত জিডি'র শুনানিও হয়েছে আশাকরি তদন্তে বিষয়টি সমাজে পরিস্কার হয়ে উঠবে।

এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কাকচিড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন, তিনি বলেন আমার জানামতে শামীম একজন প্রকৃত মামলাবাজ সে কোন দিনও আ.লীগে ছিলো না আর এখনো নাই তবে শামীম ২০০৩/৪ এর দিকে বিএনপির সাথে যুক্ত ছিলো। উপস্থিতিদের মধ্য থেকে সেলিনা, শায়লা আফরোজ, পারভিন সহ অনেকেই বলেন যে, শামীম এলাকায় খুবই ভয়ংকর কারো সাথে কিছু হলেই সে বলে আমি রাজধানীতে সাংবাদিকতা করি, আমার অমুক এমপি, অমুক মন্ত্রী ইত্যাদিদের সাথে ওঠাবসা আমি অনেক কিছু করতে পারি, শুধু তাই নয় সে বলে আমি এলাকা কিনে নিতে পারি, তার প্রধান হাতিয়ার হলো মামলা, সে ১৭ বছরের ছেলেকেও মামলা থেকে রেহাই দেয়নি। এমনকি তার বাড়ির লোকজন জানান যে, শমীম ও তার পরিবার আপনজনদের জমিও ক্ষমতার বলে ঠকিয়ে খায় কিছু বলতে গেলেই মামলা সহ সে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভিতি দেখায়, তার এমন আচরনে অতিষ্ঠ হয়ে আমারা পাথরঘাটা থানায় অভিযোগ করেছি এবং তার কৃতকর্মের অভিযোগ জানাতে পূর্বে এরাকা থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি ও পাঠিয়েছি। আমরা এই কথিত সাংবাদিক ও মামলাবাজ শামীমের বিরুদ্ধে আজ এলাকাবাসী রাস্তায় দাড়িয়েছি, তার কঠিন বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

সৌদি প্রবাসী মোঃ জামাল হোসেন বলেন যে, শামীম চুরির অপবাদে সেই বিএনপির আমলেই এলাকা ত্যাগ করেন, তাদের পরিবারেরই আত্নীয় বাইনতলা এলাকার জালাল হোসেন এর মোবাই চুরি করে সেই ২০০৩/৪ সালের দিকে, তার চুরির জন্য তার বাবা আঃ খালেক হুজুর তাদের গরু বিক্রি করে জরিমানা পরিশোধ করেন এবং তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, জালাল হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে বিষয় জানতে চাইলে তিনি সব কিছু স্বীকার করেন এবং ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন শামীম একজন নারী লোভী সে প্রায় ৬/৭ টি মেয়ের জীন নষ্ট করেছে, বরগুনার এক মেয়ের করা মামলায় তার মা-বাবা জেল খেটেছে। এ দিকে শামীমের বাড়ির পাশের মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন শামীম তো বিএনপির আমলে সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মণি'র কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট করেছে, সে কেমন করে একজন এত বড় সাংবাদিক হয়ে গেলো এই তো কয়েকবছর পূর্বেও তো ঢাকায় থাকতে ছিনতাইয়ের জন্য শামীমকে আটক করে রাখে, শামীমের বাবা আমাকে ফোন করে ছাড়িয়ে আনতে বললেও আমি একজন ছিনতাইকারীকে ছাড়াতাে যায়নি। এখন তো দু বছর ধরে শুনি যে, শামীম সাংবাদিক সে নাকি এমপি  মন্ত্রীদের সাথে চলে, আসলে তার ভিতরের রূপ এক এবং বাহিরের পোশাকের রূপ খুবই ভিন্ন।