পুকুরগুলোর মাটি ৬ফিট গভীর করে কাটার কথা থাকলেও ২৫/৩০ফিট গভীর করে কাটা হচ্ছে। এসব মাটি ইটভাটা,বাড়ি ঘর নির্মান সহ বিভিন্ভান কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব পুকুরের মাটি দিনে নয় রাতের আঁধারে কাটা হচ্ছে।

টাঙ্গাইলের সখিপুরে ছিলিমপুর গ্রামে নাপিতের খাস পুকুর,বাইটকা খাইলার পুকুর সহ উপজেলায় দশটি পুকুর,লালচে টিলা-পাহাড়ের মাটি ইউএনওর নির্দেশে ভেকু দিয়ে  কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে ধরিত্রীতে জনমানব বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে,সেই সাথে প্রকৃতি,পরিবেশের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর নির্বিকার। সরেজমিনে ছিলিমপুর নাপিতের পুকুর ও বাইটকার খাইলার পুকুরে গিয়ে দেখা যায়, তাদের মতো উপজেলার আরো দশটি পকুরে ইউএনওর মৌখিক নির্দেশে মাটি কাটা হচ্ছে। পুকুরগুলোর মাটি ৬ফিট গভীর করে কাটার কথা থাকলেও ২৫/৩০ফিট গভীর করে কাটা হচ্ছে। এসব মাটি ইটভাটা,বাড়ি ঘর নির্মান সহ বিভিন্ভান কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব পুকুরের মাটি দিনে নয় রাতের আঁধারে কাটা হচ্ছে।

ছিলিমপুরে বিতর্কিত নাপিতের  খাসপুকুরটি বিগত ১০-১১-২০২িইং বুধবার সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ভূমি অফিসার ও সার্ভয়ার খাসপুকুরে গিয়ে মাটি কাটার মৌখিক অনুমতি দিয়ে আসেন। খাস পুকুরটি মাটি খননের কাজটি করছেন কালিয়ান গ্রামের সোলায়মান, সজীব ও বাবুল নামের অসাধু মাটি ব্যবসায়ী। গত চার মাস আগেও খাস জমির মাটি কাটার দায়ে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এদেরকেই এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। আরো জানা যায় বহেড়াতৈল ইট ভাটার মালিক আ: রহিমের দুটি ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে।দিনের বেলায় মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে মাটি কাটা চলে সারারাত। খাসপুকুরের মাটি চলে যাচ্ছে বহেড়াতৈল ও তেজপুর ইটভাটায়।ঐ মাটি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি অফিসারকে ম্যানেজ করেই তারা মাটি বিক্রি করছেন। জেলা মৎস্য অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,এভাবে পুকুর খননের কোন তথ্য তাদের কাছে নেই।তবে সখিপুরে অনেক পুকুর সংস্কারের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরে তালিকা পাঠিয়েছেন।প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা মৎস্য ও উপজেলা মৎস্য অফিসার ও প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধানে পুকুর খনন কাজ করা হয়।পুকুরের মাটি দিয়েই পুকুরের পার বাধতে হয় এবং শিডিউল অনুযায়ী খনন করতে হয়।তবে খাস পুকুরের মাটি বিক্রির সুযোগ নেই। দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনসার আলী আসিফ বলেন, খাস পুকুর খনন করা হচ্ছে আগে তিনি জানতেননা কিন্তু ঐ পুকুরের সুফল ভোগীর কাঁচা ধান কেটে মাটি কাটার গাড়ি নিয়েছেন এখবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যান এবং তখন জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভুমি অফিসার মাটি ব্যবসায়ীদের মাটি কাটার অনুমতি দিয়েছেন।

সখিপুর উপজেলার খাস পুকুর ইজারদার, সুফল ভুগী ও মৎস চাষিরা দাবি করেন সংস্কার যোগ্য পুকুর গুলা মৎস অধিদপ্তরের প্রকল্পের মাধ্যমে খনন করা হোক এবং খাস পুকুরের মাটি বিক্রি বন্ধ হোক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী ফারজানা আলম বলেন,মৎস্য চাষের উপযোগী করার জন্য পুকুরগুলো খনন করা হচ্ছে।